লাইফস্টাইল ডেস্ক : সুস্থভাবে বাঁচাতে সবচেয়ে জরুরি হলো স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। দৈনন্দিন কী খাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করছে আপনার শরীর কতটা সুস্থ থাকবে। এমন অনেক খাবার আছে, যেগুলো শরীরের জন্য ক্ষতিকর জেনেও আমরা ছাড়তে পারি না। ফলে একটু একটু করে আমরা নিজেরাই নিজেদের মৃত্যুর মুখে ঢেলে দিচ্ছি।
দীর্ঘায়ু পেতে হলে খাদ্যাভ্যাসে আনতে হবে বড় বদল। আসুন জেনে নেওয়া যাক, কোন কোন খাবার আমাদের আয়ু কমিয়ে দিতে পারে –
বার্গার, চিপস, পিৎজা, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, ডোনাট, প্যাকেজড ব্রেড, কেক, ক্যান্ডির মতো খাবার সকলেই পছন্দ করেন। কিন্তু এই অতি প্রক্রিয়াজাত খাবার বা জাঙ্ক ফুড খেতে ভালো লাগলেও, আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য এগুলো খুবই ক্ষতিকর।
প্যাকেটজাত ও প্রক্রিয়াজাত খাবার
প্যাকেটজাত ও প্রক্রিয়াজাত খাবারে অ্যাডিটিভ, প্রিজারভেটিভ, অতিরিক্ত লবণ, ট্রান্স ফ্যাট এবং চিনি থাকে, যা স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রক্রিয়াজাত এবং প্যাকেটজাত খাবার বেশি খেলে ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ, পালমোনারি ডিজিজ, ডিমেনশিয়া, পারকিনসন ও স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
চিনি
যেকোনো পানীয় বা রান্নায় একটু চিনি পড়লে খেতে খুব সুস্বাদু হয়। কিন্তু চিনি শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে চিনি, ফলে ডায়াবেটিসের আশঙ্কা থেকে যায়। এ ছাড়া, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে চাইলে চিনি না খাওয়াই ভালো। চিনি খেলে শরীরে ক্যালোরিও জমাট বাঁধে।
লবণ
লবণ ছাড়া কোনো খাবারই খাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু তাই বলে অত্যাধিক লবণ খাওয়াও আবার মারাত্মক সব রোগের জন্ম দিতে পারে। বিভিন্ন ধরনের ফ্রায়েড ফুড, তেলে ভাজা ও মুচমুচে খাবারে প্রচুর পরিমাণে লবণ থাকে। এগুলো বেশি খেলে রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়, হার্টের সমস্যা এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। লবণে থাকা সোডিয়াম হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। উচ্চ রক্তচাপের কারণ হয়।
ময়দা
বেশিরভাগ মুখরোচক খাবারের মূল উপাদানই হলো ময়দা। কিন্তু আপনি কি জানেন, রান্নাঘরের এই চেনা উপকরণটিই ডেকে আনতে পারে নানা বিপদ? ময়দা বেশি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম, অম্বলের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। ময়দায় থাকা গ্লুটেন হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত করে। ঠিক মতো পেট পরিষ্কার হয় না। বহু দিন ধরে এমন চলার ফলে হজম এবং অন্ত্রের রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ছাড়া ময়দা ওজন বৃদ্ধির মূল কারণ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।