জুমবাংলা ডেস্ক: বিসিএসের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও একসময় চাকরি না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ত পরীক্ষার্থীরা। অনিয়ম আর দুর্নীতির কারণে চাকরি বঞ্চিত হয়ে মেধাবীরা বিসিএস পরীক্ষা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানে ঠিক উলটো পরিস্থিতি বিরাজমান। স্বচ্ছ পরীক্ষা হওয়ায় বিসিএস পরীক্ষার জন্য লাখ লাখ পরীক্ষার্থী আবেদন করছেন। বিসিএসের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েই চাকরি পাচ্ছেন।
সর্বশেষ ৩৭তম বিসিএসে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের বেশির ভাগ পরীক্ষার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করতে যাচ্ছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সরকারি কর্ম কমিশন-পিএসসি।
বিসিএস থেকে আগে নন-ক্যাডার প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণি পদে নিয়োগের সুযোগ না থাকায় কাউকে নিয়োগের সুপারিশ করতে পারত না পিএসসি। ২০১০ সাল থেকে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগে সুপারিশের জন্য বিধিমালা হয়। সর্বশেষ চারটি বিসিএস (৩৩তম, ৩৪তম, ৩৫তম এবং ৩৬তম) থেকে শুধু নন-ক্যাডার দ্বিতীয় শ্রেণি পদে ৪ হাজার ৬৯০ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
এর বাইরে চলমান ৩৭তম বিসিএস থেকে ১ম/২য় শ্রেণির নন-ক্যাডার পদের জন্য আবেদনকারী ২২৬২ জন প্রার্থীদের মধ্য থেকে এ যাবত ১ম শ্রেণির (৯ম গ্রেড) নন-ক্যাডার পদে ৬৯২ জন এবং ২য় শ্রেণির (১০ম গ্রেড) নন-ক্যাডার পদে ৮৮৫ জন প্রার্থীকে সুপারিশ করেছে পিএসসি। এ নিয়ে ৩৭তম বিসিএস থেকে মোট ১ হাজার ৫৭৭ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। পর্যায়ক্রমে অপেক্ষমাণ বাকিদেরও নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে বলে পিএসসি থেকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেন, স্বচ্ছতার সঙ্গে পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পিএসসির প্রতি শতভাগ আস্থা ও বিশ্বাস তৈরি হয়েছে। বিসিএস থেকে ক্যাডারের বাইরে নন-ক্যাডার নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হওয়াতেই মেধাবীরাই উপকৃত হচ্ছেন। বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে নন-ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালা পরীক্ষার্থীদের জন্য বড়ো উপহার। শিক্ষার্থীরা সময় অপচয় না করে বিসিএস পরীক্ষায় মনোযোগী হলে চাকরি হবে নিশ্চিত।
পিএসসির সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে করা জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাকের একটি সংবাদে বলা হয়, গত নয়টি বিসিএস থেকে এ পর্যন্ত ৭ হাজার ৪৮০ জনকে নন-ক্যাডার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। মূলত ২৭টি ক্যাডারে শূন্য পদে নিয়োগের জন্য প্রতিটি বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি জারি করে পিএসসি।
এই বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকারীরা তিন ধাপে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রথমে ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হন। পরবর্তীকালে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের কার্যক্রম শুরু হয়। তবে কোনো বিসিএসের নন-ক্যাডার নিয়োগ শুরু হলে পরবর্তী বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল দেওয়ার আগ পর্যন্ত নিয়োগের সুপারিশ করতে পারে কমিশন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।