জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪১নং ওয়ার্ডের ওয়ারী এলাকার কয়েকটি স্পটে লাল চিহ্নিত করে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। অধিক সংক্রমিত এলাকা হিসেবে ওই এলাকায় গত ৪ জুলাই থেকে ২১ দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে।
লকডাউন বাস্তবায়নে ‘কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে জোনিং সিস্টেম বাস্তবায়ন’ বিষয়ক কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা শেষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, গত তিন দিনে ওয়ারীতে যা নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তার ৫০ ভাগেই করোনার সংক্রমণ লক্ষ করা গেছে। তাই আমরা ওই এলাকায় লকডাউন বাস্তবায়নে আরো কঠোর হতে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, ওই এলাকার কেউ বের হতে পারবেন না। আগে জীবন পরে জীবিকা। বেচে থাকলে জীবিকা আহরণ করা যাবে।
সভা শেষে মেয়র বলেন, লকডাউন বাস্তবায়ন কতটা হচ্ছে তা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা আর একটু কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়নটা করতে চাচ্ছি। আমরা বুঝি যে এলাকাবাসীর অনেক কষ্ট হচ্ছে। জীবিকা নির্বাহসহ ব্যবসা বাণিজ্য চলাফেরায় অসুবিধা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এলাকাবাসীকে অনুরোধ করব, আপনাদের মঙ্গলের জন্যই এসব করা হচ্ছে। এই সংক্রমণ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য করা হচ্ছে। সুতরাং আপনারা ধৈর্য এবং সহনশীলতার সাথে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন করুন। আপনাদের যাতে কষ্ট কম হয় সেজন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ই-কমার্স থেকে খাবার সামগ্রীসহ চিকিৎসা সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে।
মেয়র আরো বলেন, আমরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট যে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী যথাযথভাবে দেওয়া হচ্ছে এবং মান সম্পন্ন পণ্য দেয়া হচ্ছে। তবে আপনারা সার্বিক বিষয়টা উপলব্ধি করুন। করোনা মহামারী থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের বিধিনিষেধ ও নির্দেশনা প্রতিপালন করা একান্ত আবশ্যক।
মেয়র বলেন, গত তিন দিনে যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তার প্রায় ৫০ ভাগই করোনায় সংক্রমিত। এই সংক্রমণ থেকে বেরিয়ে আসতে হলে কঠোরভাবে লকডাউন বা আটকাদেশ পরিপালন করতে হবে। লকডাউন মেনে নিয়ে যথার্থ ভাবে পালন করলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই এই এলাকা সংক্রমণমুক্ত করতে পারব।
সংবাদিকাদের উদ্দেশে তাপস বলেন, আপনারা দয়া করে কেউ ভেতরে গিয়ে কাজ করবেন না। ওটা সংক্রমিত এলাকা। এটা আপনাদের নিরাপত্তার ঝুঁকি নিয়ে আসবে। নিজ নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ভেতরে কেউ যাবেন না।
এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সীমিত আকারে কাউকে বের হওয়ার সুযোগের কথা বললে মেয়র বলেন, আমরা অত্যন্ত দু:খিত। আমাদের এরকম কোনো নির্দেশনা নাই। আমরা বুঝি আপনাদের কষ্ট হচ্ছে, এলাকাবাসীর কষ্ট হচ্ছে। তবে এই গুরুত্বটা অবলোকন করতে হবে আগে জীবন তারপর অবশ্যই জীবিকা হতে পারে। জীবন না থাকলে জীবিকা হবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই এলাকা সংক্রমণমুক্ত করতে পারলেই অবশ্যই পরবর্তীতে জীবিকার ব্যবস্থা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।