আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বুধবার বলেছেন, ইসরায়েল ও আরবদেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য যে প্রচেষ্টা চলছে, তা মধ্যপ্রাচ্যের সংকটের সমাধান করবে না। খবর এএফপি
তিনি বলেন, ‘কিছু লোক মনে করে, প্রতিবেশী দেশগুলোকে (ইসরায়েলের সঙ্গে) সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে বাধ্য করার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে। তারা ভুল।’
সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, সৌদি আরব ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করলে ওয়াশিংটন একটি নিরাপত্তা প্যাকেজের প্রস্তাব দেওয়ার জন্য প্রায় প্রস্তুত। এর পরই খামেনির এই মন্তব্য এলো।
সৌদি আরব ইসরায়েলের সঙ্গে একটি সম্ভাব্য সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে আলোচনায় ছিল। কিন্তু গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হলে তারা বিরতি দেয়। ইসরায়েলের সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, দক্ষিণ ইসরায়েলে ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলায় এক হাজার ১৭০ জন নিহত হয়, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক।
সেই হামলার পরই যুদ্ধ শুরু হয়। অন্যদিকে হামাস পরিচালিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুসারে, হামলার পর থেকে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক আক্রমণে গাজায় কমপক্ষে ৩৪ হাজার ৫৬৮ জন নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
এদিকে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আঞ্চলিক উত্তেজনা বেড়েছে। পাশাপাশি সিরিয়া, লেবানন, ইরাক ও ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো এ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ইসলামিক প্রজাতন্ত্র হামাসকে সমর্থন করে। কিন্তু চিরশত্রু ইসরায়েলের ওপর গোষ্ঠীটির হামলায় সরাসরি জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। ইরান ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় না এবং ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর থেকে ফিলিস্তিন ইস্যুকে তার বৈদেশিক নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে সমর্থন করে।
ফিলিস্তিনকে তাদের (ফিলিস্তিনিদের) কাছে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত উল্লেখ করে খামেনি বলেন, ‘তাদের নিজেদের শাসনব্যবস্থা, নিজস্ব ব্যবস্থা গঠন করা উচিত, তারপর সেই ব্যবস্থাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কিভাবে জায়নবাদীদের মোকাবেলা করতে হবে।’
মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান, ওয়াশিংটনের তীব্র নিন্দা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।