আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিতর্কিত নাগরানো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে টানা অষ্টম দিনের মতো রক্ষক্ষয়ী যুদ্ধ চলছে আজারবাইজন ও আর্মেনিয়ার মধ্যে। এরই মধ্যে আর্মেনীয়দের দখল থাকা সেখানকার মাদাগিজ শহরসহ সাতটি এলাকা মুক্ত করেছে আজারি সেনারা। এবার কারাবাখের প্রধান শহর স্টেপনেকার্টের (খাজাকান্দে) নিকটবর্তী আরো একটি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ আর্মেনীয় সেনাঘাঁটি ধ্বংস করেছে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের বৈদেশিক নীতি বিভাগের প্রধান হিকমেত হাজিয়েভ। এ ঘাঁটি থেকে আজারি শহর তারতারে কামান হামলা চালানোর সম্ভাবনা ছিল বলে জানান তিনি।
হিকমেত হাজিয়েভ আরো দাবি করেছেন যে, আজারি সেনাদের চতুর্মুখী আক্রমণের মুখে টিকতে না পেরে পালিয়ে বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন কারাবাখের মিলিশিয়া বাহিনীর প্রধান আরায়িক হার্টিউয়ানিয়ান।
তবে অ্যাজভিশন জানিয়েছে, এ বিষয়ে আর্মেনিয়া বা কারাবাখের কর্তৃপক্ষের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এমনকি মিলিশিয়া বাহিনীর প্রধানের বিষয়েও কিছু জানানো হয়নি।
এর আগে শনিবার রাতে আর্মেনীয়দের দখলে থাকা আরো সাতটি নতুন এলাকা আজারবাইজান সেনারা মুক্ত করেছে বলে জানিয়েছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ। সেইসঙ্গে কারাবাখের মুক্ত করা মাদাগিজ শহরে আজারবাইজানের পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ যুদ্ধ আজ অষ্টম দিনে গড়িয়েছে। জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানালেও তাতে কাজ হচ্ছে না। এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত উভয় পক্ষের ২ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরো কয়েক শ মানুষ। হতাহতদের অধিকাংশই আর্মেনীয় সেনা, বেসামরিক নাগরিক রয়েছে ৩০ জনের মতো।
বিপুল সংখ্যক সেনা, সমরাস্ত্র ও ভূখণ্ড হারিয়ে যুদ্ধ বিরতিতে রাজি হয়েছে আর্মেনিয়া। এর জবাবে আজারবাইজান জানিয়েছে, আর্মেনীয়রা নাগরানো-কারাবাখ অঞ্চল না ছাড়া পর্যন্ত তারা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।