আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন আরো ৭৫ কোটি ডলারের অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে ইউক্রেনকে সহায়তা করতে যাচ্ছে। ইউক্রেনে যখন রাশিয়ার সামরিক অভিযান চলছে তখন রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য আমেরিকা দফায় দফায় ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তার নামে অস্ত্র বিক্রির সুযোগ নিচ্ছে। খবর পার্সটুডে’র।
নতুন করে ইউক্রেনে যে সম্ভাব্য সামরিক প্যাকেজ পাঠানো হবে তাতে ড্রোন, এমআই-১৭ হেলিকপ্টার, কামান এবং রাসায়নিক হামলায় ব্যবহারযোগ্য প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম থাকতে পারে। সামরিক সহায়তা প্যাকেজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুজন কর্মকর্তা গতকাল (মঙ্গলবার) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য দিয়েছেন।
একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সামরিক সরঞ্জামাদির প্যাকেজটি এখনো চূড়ান্ত হয় নি এবং শেষ পর্যন্ত কিছু নতুন অস্ত্রপাতি যুক্ত হতে পারে।
আমেরিকার সাবেক এক কর্মকর্তা অস্ত্রের এই নতুন চালানকে ‘বৃহৎ পরিসরে যুদ্ধ চালানোর ধারণা’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি জানান, ইউক্রেনকে স্বল্প পাল্লার জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দেয়ার বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে চিন্তা করা হচ্ছে। মার্কিন উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্যাথেলিন হিক্সও বলেছেন ইউক্রেনকে কিছু অস্ত্র দেয়ার চেষ্টা করছে পেন্টাগন যাতে তারা যুদ্ধক্ষেত্রে সুবিধা পায়।
বাইডেন সরকার ক্ষমতায় আসার পর আমেরিকা এ পর্যন্ত ইউক্রেনকে ২৪০ কোটি ডলারের অস্ত্র দিয়েছে। এর মধ্যে গত অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ছয় দফা অস্ত্র সরবরাহ করেছে পেন্টাগন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের সেনাদেরকে সামরিক সহায়তার নামে আমেরিকা একের পর এক অস্ত্র ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। দৃশ্যত মনে হচ্ছে, মার্কিন সরকার ইউক্রেন যুদ্ধকে অস্ত্র বিক্রির সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।