জুমবাংলা ডেস্ক : এসএ গেমসের আর্চারিতে ইতি খাতুনের স্বর্ণ জয়, আনন্দে ভাসাচ্ছে গোটা চুয়াডাঙ্গাকে। এক সময়ের নিন্দুক এলাকাবাসীও, এখন গর্ব করেন তাকে নিয়ে। কামনা করেন ভবিষ্যৎ সাফল্য। দেশের পতাকা সমুন্নত রাখা ইতিকে নিয়ে এখন গর্ব করেন তার পিতা-মাতা। তৃণমূল থেকে তুলে আনা আর্চারি ফেডারেশনের সদস্য সোহেল আকরাম অবশ্য সাফল্যের কৃতিত্ব দিলেন সংশ্লিষ্ট সবাইকে।
অন্নপূর্ণায় অনন্যা ইতি। বাংলার এই কিশোরী তীর ধনুকের লড়াইয়ে পিছনে ফেলেছেন অলিম্পিক খেলা আর্চারকেও। স্বর্ণ জয় আর আনন্দ অশ্রুতে একাকার হিমালয়ের দেশ। আর যাতে রেকর্ড স্বর্ণ জয় বাংলাদেশের।
দক্ষিণ এশিয়ার গণ্ডিতে বিজয় কেতন ওড়ানো এই স্বর্ণ কন্যার উঠে আসার গল্পটা ছিল সংগ্রামের। দরিদ্রের কারণে ষষ্ঠ শ্রেণিতে থাকাকালীন বিয়ে দিতে চেয়েছিল পরিবার। দরিদ্র বাবার সেই পরিবার থেকে এখন দেশ সেরা আর্চার, জাতীয় পতাকা সমুন্নত রেখেছেন নেপালেও। তাই এক সময়কার নিন্দুক এলাকাবাসীও এখন গর্ব করেন তাকে নিয়ে।
এলাকাবাসী বলেন, তার বাবা-মায়ের সামর্থ্য নেই যে তাকে আরো সুযোগ করে দিবে। আমরা দোয়া করি ইতি ভবিষ্যতে আরো বড় হোক। এখন গর্ব করেন বাবা মা’ও। আত্মীয়দের মাঝে এখন অনেক প্রিয় ইতি। তাদের প্রত্যাশা এমন সাফল্য দেশের জন্য তিনি বয়ে আনবেন আরো বহুবার। ইতির বাবা-মা বলেন, আরো পাঁচটা মেয়ে ইতিকে দেখে শিখবে। তারাও আমার মেয়ের মতো স্বর্ণ জয় করবে।
ইতির চুয়াডাঙ্গার বেলগাছি থেকে উঠে আসা আর্চারি ফেডারেশনের সদস্য সোহেল আকরামের হাত ধরে। অনুপ্রেরণা দিয়েছেন চলার পথে। মেধা দেখেছেন শুরুর দিনগুলোতে। তার এমন সাফল্যের দিনে গর্বে ভাসেন তিনিও। তবে সব সাফল্য দিলেন সংশ্লিষ্ট সবার।
আর্চারি ফেডারেশনের সদস্য সোহেল আকরাম বলেন, ‘ঢাকা থেকে যখন ডাক আসলো তখন ইতির বাবা তাকে যেতে দিবে না। বললো তাকে বিয়ে দিয়ে দিবে। তখন আমি বলি, আপনার মেয়েকে আমাকে দেন। ও যেহেতু খেলাধুলায় আগ্রহী ওর দেখভাল আমি করবো।’
সবার প্রত্যাশা এখন এই সাফল্যের ধারা ইতি ধরে রেখে বারবার উজ্জ্বল করুক বাংলাদেশের পতাকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।