নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বায়ত্বসাশন ফিরিয়ে আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি) বন্ধ করে দেওয়ারও সুপারিশ করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
সোমবার ঢাকার ধানমণ্ডিতে সিপিডির কার্যালয়ে ব্যাংকিং খাতের সুশাসন ফিরিয়ে আনতে করণীয় শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এই সুপারিশ তুলে ধরেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পৃথিবীর সব দেশেই তো কেন্দ্রীয় ব্যাংক আছে। সেখানে কি আলাদা কোনো সংস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে এভাবে নিয়ন্ত্রণ করে? আমাদের দেশে তো এফআইডি আমরা তুলে দিয়েছিলাম। যদি আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে স্বাধীনতা দিতে পারি এবং স্বায়ত্বশাসন বজায় রাখতে পারি এবং সে যদি সংসদের কাছে তার জবাবদিহি করে, তাহলে এরকম দ্বৈতশাসন দরকার হয় না।”
এফআইডির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান, পরিচালক নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম হয় অভিযোগ করে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এটা যে কিভাবে নিয়ম-কানুন না মেনে করা হয় সেটা তো আমরা দেখেছি। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আমরা যদি শক্তিশালী করতে পারি, রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে পারি, তাহলে আমরা নিশ্চিত হতে পারি এফআইডি না থাকলেও আমরা এটা করতে পারব।
স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক নিজেই তার সব দিক সামাল দিতে পারবে বলেও মনে করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। তার মতে এফআইডি বিভাগটি বিলুপ্ত করার সময় এসেছে। এটিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেও মত তার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৯৭২ সালে জারি করা হয় বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক নিজেই তার সব কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারত।
সিপিডির অভিযোগ, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকাণ্ডে নানা ধরনের প্রভাব বিস্তারের জন্যই এফআইডি গঠন করা হয়েছিল।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, অর্থনৈতিক অবদানে সহযোগিতার জন্য ব্যাংকিং খাতকে বিশদ কাঠামোগত সংস্কার করা দরকার। এর জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা দরকার। যা আমরা অতীতে দেখতে পাইনি। অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা তারা ব্যাংকিং খাত ও অর্থনীতির অন্যান্য খাতকে পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট হবে। পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার-বিশ্লেষন না করে ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়ে ফাহমিদা খাতুন বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নররা যেসব নীতিমালা গ্রহণ করেছেন সেগুলো ব্যাংকিং আদর্শের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যেসব ভালো চর্চাগুলো ছিল সেগুলোকে পাশ কাটিয়ে অথবা নতুন নিয়ম তৈরি করে বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিয়েছেন তারা। এই অনিয়মের মাধ্যমে বিশেষ গোষ্ঠীর কাছে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ চলে গিয়েছে।
দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পদক্ষেপ নিচ্ছে র্যাব
এর প্রত্যেকটি ঘটনা তদন্ত হওয়া উচিৎ এবং যারা এর সঙ্গে জড়িত ছিল তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা উচিৎ।
পামাপাশি বেসরকারি ব্যাংকগুলোর পরিচালকদের মধ্যে যাদের আর্থিক লেনদেনের স্বচ্ছতার ঘাটতি আছে তাদেরকেও পরিচালনা পর্ষদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করেছে সিপিডি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।