জুমবাংলা ডেস্ক : ঈশ্বরদী উপজেলার অনার্স পড়ুয়া ছাত্র কাওছারের আদরের গরু (ষাড়) ‘আলীসান’ র দাম চাওয়া হচ্ছে ২০ লাখ টাকা। ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়ার লওদা পাড়া গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে মো. কাওছার হোসেন পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের ইতিহাস বিভাগের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
কাওসার পরম যত্নে লালন-পালন করেছে আলীসানকে। দেখতে বড় হলেও ‘আলীসান’ খুবই শান্ত। এই গরুটির ওজন ১৩০০ কেজি অর্থাৎ প্রায় ৩৩ মণ। এমন ওজনের গরু খুব কমই দেখা যায়।
‘আলীসান’কে নিয়ে বাজারের ক্রেতা থেকে শুরু করে ব্যাপারিদেরও বিস্ময়ের শেষ নেই। সামনে কোরবানির ঈদ হওয়ায় হাটে তোলার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে আলীসানকে। বাজারে আলীসানের দাম চাওয়া হয়েছে ২০ লাখ টাকা।
জানা গেছে, কাওছার লেখাপড়ার পাশাপাশি ক্ষুদ্র ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৯ সাল থেকে তিনি শখের বশে গরু পালন শুরু করেন। এ বছরের কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ১টি গরু পালন করেছেন কাওছার। চাহিদার কাছাকাছি দাম পেলেই আলীসানকে বিক্রি করবেন তিনি।
২ বছর ধরে পরম যত্নে আলীসানকে তৈরি করেছেন কোনো প্রকারের ওষুধ ও মোটাতাজাকরণপদ্ধতি ছাড়া, শুধু অ্যাংকর ভূষি,গুড়া খৈল,খড় আর ঘাস খাইয়ে। প্রতিদিনের খাদ্যের জন্য খরচ হয়েছে ১ হাজার টাকা।
ওজন ও আয়তন বৃদ্ধির প্রসঙ্গে কাওছার বলেন, স্টেরয়েড ব্যবহার করা তো দূরের কথা, ভুল করে আমাদের চিন্তায়ও আসেনি।
তিনি আরও বলেন, ২ বছর আগে আলীসানকে কেনা হয়েছিল ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায়। ৭৩০ দিনে প্রতিদিনে ১ হাজার টাকা হিসেবে ৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা শুধু খাওয়ানোর খরচ করতে হয়েছে। আর ২ বছর অনেক কষ্ট করে যত্ন করে আলীসানকে প্রস্তুত করেছি। আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে অনলাইন পশুর বাজারে আলীসানের যথাযথ প্রচারণার কথা জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।