Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home আলুর কেজি ৩ টাকা
    জাতীয়

    আলুর কেজি ৩ টাকা

    Shamim RezaJanuary 22, 20224 Mins Read
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক : ‘গ্যানোলা আলু তিন টাকা কেজি। মোটা চাল সর্বনিম্ন ৪২ টাকা কেজি। যদি আলু তিন টাকা কেজি হয়, তাহলে ১৪ কেজি আলু বিক্রি করে এক কেজি চাল কেনা যাবে। আর আমার বাড়িতে দৈনিক চাল লাগে প্রায় তিন কেজি। তাহলে হিসাব অনুযায়ী এক মণ আলু বিক্রি করে আমার বাড়িতে তিন বেলার ভাত হয়। এভাবে কি চলা যায়?’

    আলুর

    আক্ষেপ নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন দিনাজপুরের সদর উপজেলার মাঝাডাঙ্গা এলাকার কৃষক মমিনুল ইসলাম। মমিনুল ইসলাম পেশায় কৃষক, অবসরে এলাকায় মানুষের চিকিৎসা করেন। তবে শহর খুব কাছে হওয়ায় কৃষি পেশাই তার ভরসা। পরিবারের সদস্য সংখ্যা সাত জন। পরিবারের সদস্যদের জন্য তিনবেলা খাবারে লাগে প্রায় তিন কেজি চাল।

    মমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা যখন আলু লাগাই তখন বীজ বেশি দামে কিনেছি। এখন আলু তুলবো, আলুর দাম নাই। এই আলুগুলো যদি দেশের বিভিন্ন জেলাগুলোতে পাঠানো যেতো, তাহলে দাম ভালো পেতাম। কিন্তু এখন আলুগুলো যাচ্ছে না। আলুতে এবার এত লোকসান, জমিতে যে সার-বিষ দিছি সেগুলোর খরচই উঠবে না।

    বর্তমানে গ্যানোলা আলু তিন টাকা কেজি যাচ্ছে। এই দাম দিয়ে তো কাজের লোকের টাকাই উঠে না। যদি আলু সাত টাকা দরে বিক্রি করি, তাহলে হয়তো আলুর বীজের দামটা উঠবে। কিন্তু বাকি সব খরচের টাকা উঠবে না। এজন্য আমরা কৃষকরা এবার ধরা। সরকার যদি আমাদের কৃষকদের বিভিন্ন ভূর্তকি দিয়ে দেখতো তবে হয়তো ভালো হতো। এ বছর আলু আবাদ করেছি ২ বিঘার মতো। খরচ এখন পর্যন্ত ৭৫ হাজার টাকার মতো হয়েছে।

    মমিনুল ইসলামের মতো অবস্থা দিনাজপুর জেলার প্রায় সব কৃষকেরই। আলুর দাম নেই, ফলে কৃষকের এবারে মাথায় হাত। জেলায় আগাম জাত হিসেবে কৃষকরা গ্যানোলা, ক্যারেজ ও স্টারিজ জাতের আলুর চাষ করেন। এবারে গ্যানোলা আলু কৃষকরা বিক্রি করছেন তিন থেকে পাঁচ টাকা কেজি, আর ক্যারেজ ও স্টারিজ আলু বিক্রি করছেন সাত টাকা কেজি দরে। ফলে সবারই এবারে লোকসান।

    বিরল উপজেলার মাঝাডাঙা এলাকার কৃষক লক্ষ্মী কান্ত রায়, আমি এবার দুই বিঘা আলু লাগাইছি। আলু উঠাইছি ভাই কিন্তু দাম নাই। তিন টাকা-চার টাকা আলু বিক্রি করলে লাভ হবে। বিষ, সার, বীজ মিলে বিঘা হারে খরচ হইছে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। এখন আলুর দাম যদি ভালো থাকতো তবে হয়তো ভালো লাভ হতো। দুইটা টাকার মুখ দেখতে পেতাম।

    বিরল উপজেলার মাঝাডাঙা এলাকার রাজ কুমার রায়, এ বছর দুই বিঘা আলু আবাদ করেছি। বর্তমানের আলু তিন চার টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এই আলু যদি সাত টাকাও বিক্রি হয় তবুও লাভ থাকবে না। এই আলু এখন ১২ হইতে ১৪ টাকা বিক্রি হইলে তবেই লাভ হতো।

    পানির বিরতিতে মাঠেই নামাজ আদায় করলেন মাহমুদউল্লাহ

    রফিকুল ইসলাম নামে এক আলু চাষি বলেন, তিন বিঘা মাটিতে খরচ এখন পর্যন্ত প্রায় এক লাখ ২০ হাজার টাকা। আলু বিক্রি হচ্ছে সাত-আট টাকা কেজি দরে। এভাবে লাভ হবে না। সরকার তো আমাদের দিকে দেখে না। সরকার যদি আলুর দামটা ঠিক রাখতো। ১৪ থেকে ১৫ টাকা যদি আলু কিনতো তবে লাভ হতো।

    মালঝার এলাকার কৃষক আব্বাস আলী বলেন, বাজার খুবই খারাপ। ক্যারেজ আলু সাত টাকা কেজি, গ্যানোলা আলু ৪-৫ টাকা কেজি। আমি ক্যারেজ আলু লাগাইছি। সেই সময়ে বীজ আলু নিয়েছি ৩০-৩৫ টাকা কেজি। সার-বিষ, কামলা-কৃষাণ অনেক খরচ। প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা। এক বিঘা জমিতে ফলন হয়েছে ৬৭ বস্তা। প্রতি বস্তায় আলু থাকে ৬৫ থেকে ৭০ কেজি। সাত টাকা কেজি বিক্রি করে পোষাবে না।

    তার দেওয়া হিসাব মতে প্রতি বিঘায় আলু হয়েছে চার হাজার ৩৫৫ কেজি থেকে চার হজার ৬৯০ কেজি। সাত টাকা করে কেজি হিসেবে এর দাম পড়ে ৩০ হাজার থেকে ৩৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ নিজের জমিতে চাষাবাদ করে তার লোকসান গুনতে হবে ২ থেকে ৭ হাজার টাকা।

    কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, এবারে জেলায় ৪৮ হাজার ৫৯০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আর প্রতি হেক্টরে আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ২৩ দশমিক ৭৭ মে.টন। এ পর্যন্ত আলু রোপণ হয়েছে ৪৬ হজার ৯১০ হেক্টর জমিতে।

    দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ এএসএম আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, এখনও অনেকেই আলু রোপণ করছেন, ফলে লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত জমিতে আলু চাষাবাদ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। লাভজনক ফসল হওয়ায় অনেকেই আগাম আলু চাষে ঝুঁকছেন। এবারে উৎপাদন ভালো হয়েছে। বাজারদর ঠিক থাকলে কৃষকরা হয়তো লাভবান হতেন। তবে কৃষকরা যদি দেশীয় পদ্ধতিতে বাড়িতেই তিন থেকে চার মাস আলু সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন, তাহলে লাভবান হবেন বলে জানান তিনি।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    আলুর
    Related Posts
    ওসি পদে রদবদল

    চট্টগ্রামে তিন থানায় ওসি পদে রদবদল

    July 7, 2025
    সিটির কাউন্সিলর আশিকুর রহমান

    ঢাকায় সংবর্ধনা পেলেন ক্যাম্বেলটাউন সিটির কাউন্সিলর আশিকুর রহমান

    July 7, 2025
    nid

    ৩০ মিনিট সময় দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের অসুন্দর ছবিটি আজই বদলে ফেলুন

    July 7, 2025
    সর্বশেষ খবর
    ওসি পদে রদবদল

    চট্টগ্রামে তিন থানায় ওসি পদে রদবদল

    1-2025

    কোনাবাড়ীতে কাঁচাবাজারে অগ্নিকাণ্ড: ১৬টি দোকান পুড়ে ছাই

    জাপার নতুন মহাসচিব শামীম

    জাপার নতুন মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী

    Kaligonj-Gazipur-Afzal Sheikh's success story after returning from exile (3)

    রামবুটান চাষে ভাগ্য বদল: প্রবাস ফেরত আফজাল শেখের সাফল্যের গল্প

    Gazipur

    গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার

    সিটির কাউন্সিলর আশিকুর রহমান

    ঢাকায় সংবর্ধনা পেলেন ক্যাম্বেলটাউন সিটির কাউন্সিলর আশিকুর রহমান

    sopon

    টঙ্গীতে চাঁদাবাজির মামলায় সাবেক বিএনপি নেতা স্বপন গ্রেপ্তার

    kathal

    ২০০ বছরের পুরনো কাঁঠাল গাছে আজও প্রতি বছরে কয়েকশো ফল ধরে

    ইন্টারভিউতে-পরীক্ষা

    মেয়েদের শরীরের কোন অঙ্গ টিপলে বড় হয়ে যায়

    হিজড়া

    হিজড়াদের ৩টি জিনিসে ভুলেও হাত দেবেন না

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.