গুলশান দুই নম্বরের সোসাইটি পার্কের প্রবেশ মুখে বেশ কিছু ছবি নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনী চলছে। বাংলাদেশের বাবা আর সুইডেনের বাবাদের এখানে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রায় সময় দেখা যায় সন্তানের সঙ্গে মায়ের সংগ্রামের ছবি। বাবা হয়ে ওঠা বা বাবার সঙ্গে সন্তানের মুহূর্তও তো কম নয়।
আধুনিক সমাজে একক পরিবারে বাবাকে সন্তানের নানা দায়িত্ব নিতে হয়। বিশেষ করে কর্মজীবী মায়েদের পরিবারে বাবাদের হতে হয় সহযোগী। না হলে কর্মজীবী মা অফিসের পাশাপাশি পরিবার সামলে উঠতে হাঁপিয়ে ওঠেন ও হিমশিম খান। শোনা যায় সন্তানের দেখভাল করার জন্য অনেক মা চাকরিও ছেড়ে দেন। কিন্তু বাবা-মা যদি সন্তানের কাজগুলো ভাগাভাগি করে করে নেন কাজগুলো সহজ হয়।
এই কথাগুলো বলছিলেন ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে আসা এক বাবার মুখে। তিনি এসেছিলেন গুলশান দুই নম্বরের সোসাইটি পার্কের প্রবেশ মুখে। সেখানে সুইডিস বাবা শীর্ষক আলোকচিত্র শুরু হয়েছে। যেখানে সুইডেন ও বাংলাদেশের বাবাদের অন্তরিক মুহূর্ত তুলে ধরা হয়েছে আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে। দিনের আলোতে তো বটেই মনোরম আলোকসজ্জায় রাতেও প্রদর্শনী উপভোগের ব্যবস্থা রয়েছে।
পিতৃত্ব যাপনের চিত্র সমাজে সেভাবে উপস্থাপন করা হয় না। মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি হলেও সন্তানের বেড়ে ওঠায় বাবাদের ভূমিকাও অনস্বীকার্য। অনলাইনে অনুষ্ঠিত মাসব্যাপী প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ১০০টি ছবি থেকে মোট ২৩ টি ছবি প্রদর্শনীর জন্য নির্বাচিত করা হয়। যেখানে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের ২৩ জন বাবার ছবি প্রদর্শনীতে স্থান পায়।
এই প্রদর্শনীটি পরিবার এবং সমাজ উভয় ক্ষেত্রে পিতাদের ক্রমবর্ধমান ভূমিকা সম্পর্কে অর্থপূর্ণ আলোচনার জন্য একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম। ‘পিতাদের ইতিবাচক প্রভাবগুলি তুলে ধরে এমন গল্পগুলি প্রদর্শনের মাধ্যমে, প্রদর্শনীটি অভিভাবকত্ব এবং লিঙ্গ ভূমিকার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতিকে অনুপ্রাণিত করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।