Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home আল্লাহর দয়া আমাদের গুনাহের চেয়ে বেশি
    ইসলাম ধর্ম

    আল্লাহর দয়া আমাদের গুনাহের চেয়ে বেশি

    Saiful IslamMarch 24, 20205 Mins Read
    Advertisement

    ধর্ম ডেস্ক : আমাদের জীবনের ভাঁজে ভাঁজে গুনাহ। পুণ্যের কাজগুলো মুহূর্তেই হয়তো গণনা করে শেষ করা যাবে; কিন্তু, গুনাহের কাজ কি শেষ হবে? কত প্রতারণা করেছি, করেছি কত ছলনা! তার কী কোনো ইয়ত্তা আছে?

    আমরা যদি যাপিত জীবনের শুরু থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত প্রতিটি মুহূর্তের একটু বিশ্লেষণ করি, ক্যালকুলেটর দিয়ে একটু হিসাব কষি, তাহলেই বুঝতে পারব, জীবনে আমার অনেক কিছুই করার ছিল; কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করা হয়নি।

    ভোগবিলাসের পেছনেই আমার পুরোটা জীবন কেটে গেছে। কতজনকে ঠকিয়েছি, কতজনের প্রতি অন্যায় করেছি! নিজের ভাইয়ের সঙ্গেই আমার সম্পর্ক ভালো নেই। সামান্য একটি ব্যাপার নিয়ে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছি।

    অথচ, সে আমার রক্তের ভাই। বাবা-মাকে অশ্রদ্ধা করেছি। তাদের জীবনের শেষ ইচ্ছেগুলো পূরণ করিনি। তারা কত কষ্ট করে আমাকে বড় করেছেন। নিজেরা অনাহারে থেকে আমার লেখাপড়ার খরচ যুগিয়েছেন; আর আজ আমি তাদেরই লাথি মেরে ঘর থেকে বিদায় করে দিয়েছি।

       

    আমি হালাল-হারামের কোনো পরোয়া করিনি। অবৈধপন্থায় উপার্জন করেছি। চাকরিতে ফাঁকি দিয়েছি। আল্লাহ তায়ালার ফরজ হুকুম নামাজ পড়িনি, রোজা রাখিনি। সম্পদের পাহাড় গড়েছি; কিন্তু যাকাত দিইনি। ফকির-মিসকিনকে দান-খয়রাত করিনি। বরং তাদের গলাধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছি।

    সুদ খেয়েছি, ঘুষ খেয়েছি। নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য মানুষ খুন করেছি। স্ত্রীর হক আদায় করিনি। অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করে সুখ খুঁজে বেড়িয়েছি। ছেলে-মেয়েদের দেখাশোনা করিনি। বড়দের শ্রদ্ধা করিনি, ছোটদের স্নেহ করিনি। লোকসমাজে করে গেছি শুধু টাকার বড়াই।

    আত্মঅহমিকা ছিল আমার মধ্যে ঠাঁসা। আত্মগর্বে স্ফীত হয়ে মানুষকে আমি মানুষ মনে করিনি। এই তো আমার জীবন? জীবনের হিসাবের কাগজে এর চেয়ে ভালো কিছু কী আছে?

    অথচ, আল্লাহ তায়ালা কত সুন্দর, কত শান্তি ও পরিতৃপ্তির এক জীবন দিয়েছিলেন আমাকে। যে জীবনে পরিবারের সুখ ছিল। ভাইয়ের প্রতি ভাইয়ের ভালোবাসা ছিল। সমাজে সম্মান ছিল। ফেরেশ্তাদের দোয়া ছিল। আল্লাহ তায়ালার প্রভূত প্রশংসা ছিল। সবচেয়ে বড় পাওয়া, অনন্ত অসীম জীবনে জান্নাত ছিল!

    সেই জীবনকে আমি উপেক্ষা করেছি। বিনিময়ে সমস্ত মাখলুকের অভিশাপই অর্জন করেছি। আজ কেউ আমাকে ভালো চোখে দেখে না। আমার কাজে সবাই আজ ত্যক্তবিরক্ত। আমি সবার চোখের কাঁটা। আমার মৃত্যু কামনা করে সবাই।

    আমার মন কী বলে, এর চেয়ে পশুর জীবন কী উত্তম নয়? আল্লাহ তায়ালা আমাদের বিবেক দিয়েছেন। ভালো-মন্দ পরখ করার বুদ্ধি দিয়েছেন; তবুও আমাদের কাজগুলো পশুর কাজের মতো। বরং তারচেয়েও নিকৃষ্ট।

    কুকুর তার মালিকের অবাধ্য হয় না। সে এটা খুব ভালোভাবেই বুঝে, তার মালিক তাকে আহার্য দিয়েছে। সে যখন ভীষণ খিদায় তড়পাচ্ছিল, তখন মালিক তাকে খাইয়েছে। এই জন্য সে মালিকের নিমকহারামি করে না। রাতে মালিকের বাড়ি পাহারা দেয়। সকাল-বিকাল মাথা ঝুঁকিয়ে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

    দেখুন, একটি পশু হয়েও কুকুর তার মালিককে চিন্তে ভুল করে না; আর আমরা মানুষ হয়েও আমাদের সৃষ্টিকর্তা, রিজিকদাতা, রক্ষাকর্তা, মহামহিম আল্লাহ তায়ালাকে চিনি না। তাঁর হুকুম মানি না।

    তিনি তো আমাকে এমন জায়গা থেকেই আহার্য দান করে আসছেন, যেখানে কোনো রিজিকদাতা ছিল না। মায়ের পেটে কে আমাদের খাইয়েছেন? কে সেই অন্ধকার জগতে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন? কে আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীটা দান করেছেন? কে আমাকে সৃষ্টির সেরা ঘোষণা করেছেন? কে আমাকে মুসলমানের ঘরে জন্ম দিয়েছেন?

    কে আমাকে হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর উম্মত বানিয়েছেন? তিনি তো সেই মহান আল্লাহ তায়ালা। এই অজস্র নেয়ামতের কথা স্মরণ করে কখনও কী সিজদায় কপাল ঠেকিয়ে রোনাজারি করেছি? মহান সেই প্রভুর প্রতি কৃতজ্ঞ হয়েছি?

    আল্লাহ তায়ালা আমাদের বানালেন এক নবীর উম্মত হিসেবে। আমাদের আদর্শ এক। কুরআন এক। আল্লাহ এক। আমাদের রক্ত এক। আল্লাহর রাসূল (সা.)ও ঘোষণা করে গেলেন, সমস্ত উম্মত একটি দেহের মতো।

    আমাদের মাঝে তিনি কোনো বিভাজন রেখে যাননি। ধনী-গরিবে , বড়-ছোটোয় বংশে-বংশে, দলে দলে, সাদা-কালোয় কোনো ভেদাভেদের দেয়াল তুলে যাননি।

    হযরত বিলাল (রা.) তো একজন হাবশি (কালো) দাস ছিলেন। তবুও তিনি রাসূল (সা.) সব সময়ের মুআজ্জিন হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন। আল্লাহর রাসূলের কাছে তাঁর গোটা উম্মত ছিল সমান। একটি পরিবার।

    আজ আমরা কোন্ ইসলামের কথা বলি? এটা কী সেই মোহাম্মদী ইসলাম? যদি সেই ইসলামই হয়ে থাকে, তাহলে আমরা এতগুলো দলে বিভক্ত কেন?

    কেউ শিয়া, কেউ সুন্নি, কেউ আহলে হাদিস, কেউ ওহাবি? কেউ কওমিয়ান, কেউ আলিয়ান? কেউ দেওবন্দি,কেউ আজহারী এগুলো তো আমাদের পরিচয় হওয়ার কথা ছিল না? আমরা সবাই তো একই নবীর উম্মত! আমরা সবাই তো জান্নাতেরই প্রত্যাশী! তবে এই বিভাজন কেন? কেন এই বৈষম্য, বৈপরীত্যতা?

    আজ অন্তত আমাদের বিবেককে একটু জাগ্রত করি। নিজের ভুলে যাওয়া পরিচয় স্মরণ করি! এক সময় বিশ্বব্যাপী রাজত্ব ছিল আমাদের। আমরা মানুষকে ইনসাফ শিখিয়েছিলাম। সুখ- স্বাচ্ছন্দ্যের জীবন উপহার দিয়েছিলাম; আমাদের শাসনকালে বাঘ-বকরি একই ঘাট থেকে পানি পান করত। তখন কোনো রক্তপাত ছিল না। অন্যায়-উৎপীড়ন ছিল না। চোখের সামনে ধর্ষিতা মেয়ের বিভৎস লাশ দেখে অসহায় কোনো মায়ের আর্তনাদ করতে হতো না! আজ কোথায় সেই ক্ষমতা? কোথায় সেই রাজত্ব? কোথায় সেই ইনসাফ? যেই আখলাক ও চরিত্র দেখে দলে দলে লোকেরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করত, সেই চরিত্রবান মুসলমানরা কোথায়?

    আজ আর কিচ্ছু অবশিষ্ট নেই। স্পেন হারিয়েছি, তুর্কিস্তান হারিয়েছি, কাশ্মীর হারিয়েছি, ভারতবর্ষ হারিয়েছি, ফিলিস্তিন হারিয়েছি, আরবের ঐতিহ্য হারিয়েছি। এখন আমাদের কিচ্ছু নেই।

    আমরা আমাদের স্রষ্টাকে ভুলে গেছি। রিজিকদাতাকে ভুলে গেছি। আমরা তো সেই কৃতজ্ঞ কুকুরের চেয়েও অধম হয়ে গেছি! ইসলামী জীবন পরিত্যাগ করে গ্রহণ করেছি পাশ্চাত্যের জীবন। বেহায়া বেলেল্লাপনার জীবন। পশুত্বের জীবন।

    এগুলো আল্লাহ তায়ালা দেখেন না? তাঁর কাছে কী হিসাবের দফতর নেই? আছে। সব আছে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সমস্ত কর্মই প্রত্যক্ষ করেন। তিনি তো এমন সত্তা, যার কাছে কোনো আবরণ বা আড়াল বলে কিছু নেই। তিনি সব দেখেন। আমি ভালো করলেই দেখেন। মন্দ করলেও দেখেন। শুধু দেখেই ক্ষ্যান্ত হন না, প্রতিটি কাজের হিসাব তিনি নিবেন।

    প্রিয় পাঠক, সময় এখনও আছে। আসুন আমরা নিজেদের চিনে নেই। আল্লাহ তায়ালার কাছে ফিরে যাই। সত্য ও সুন্দর ইসলামের সাজে নিজেদের সুসজ্জিত করি।

    তাহলে আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই আমাদের ক্ষমা করবেন। আমাদের থেকে বালা-মুসিবত উঠিয়ে নিবেন; কারণ, তাঁর দয়া আমাদের ভুল-ত্রুটি থেকে বেশি! লেখক: তরুণ আলেম ও চিন্তক

    [email protected]

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘দয়া আমাদের আল্লাহর ইসলাম গুনাহের চেয়ে’ ধর্ম বেশি
    Related Posts
    নবী (সা.)

    প্রিয় নবী (সা.)-এর দৃষ্টিতে শিক্ষা ও শিক্ষকের স্থান

    October 5, 2025
    মর্যাদা বৃদ্ধির বিশেষ ১০ আমল

    আল্লাহর কাছে মর্যাদা বৃদ্ধির বিশেষ ১০ আমল

    October 4, 2025
    ওমরাহ

    ওমরাহর নিয়মে বড় পরিবর্তন

    October 4, 2025
    সর্বশেষ খবর
    ওয়েব সিরিজ

    ওটিটিতে নতুন ধামাকা, রহস্যে মোড়ানো নতুন ওয়েব সিরিজ!

    Gigi Hadid Cooper–DiCaprio Rift

    Gigi Hadid at Center of Reported Cooper–DiCaprio Rift: What We Know

    POCO M7 Plus 5G

    POCO M7 Plus 5G : ৭০০০mAh ব্যাটারি ও ৫০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা সহ বাজেট ফ্রেন্ডলি স্মার্টফোন

    ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি

    কখন এবং কতটা শক্তিতে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’?

    who is tina turner

    Who Is Tina Turner? Life, Career Highlights, and Legacy Explained

    অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধ

    অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে সমন্বিত কার্যক্রম শুরু

    তিস্তা

    তিস্তার পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি, নিম্নাঞ্চলে বন্যার শঙ্কা

    og movie box office collection

    Pawan Kalyan OG Box Office Collection Day 11: Action Thriller Maintains Strong India Run

    অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ

    অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষক নিয়োগে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার

    aion 2 western monetization concerns

    Aion 2 Western Monetization Concerns Grow After New Developer Reveal

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.