জুমবাংলা ডেস্ক : কিশোরগঞ্জে ৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে কারো দেহে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়নি। এদিকে প্রথমবারের মত হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক আক্রান্ত ব্যক্তি।
হটস্পট হিসেবে ঘোষণার পর এমন খবরে আশার আলো দেখতে শুরু করেছে কিশোরগঞ্জবাসী।
গত ৬ এপ্রিল জেলার করিমগঞ্জে উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া এক যুবকের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। এর পর থেকে প্রতিদিন বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা। আইইডিসিআর থেকে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ১৭৫ জনের দেহে কভিড-১৯ সনাক্ত হয়। তবে এই প্রথম এক দিনে দু’টি সুখবর পাওয়া গেল।
গত ২২ এপ্রিল ৪০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল। শনিবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জেলার সিভিল সার্জন জানালেন তাদের মধ্যে কারও কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া যায়নি।
এর আগে শুক্রবার পাওয়া ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে মাত্র এক জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়।
এ দিকে শনিবার প্রথমবারের মতো জেলার শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেন ইটনার এক আক্রান্ত ব্যক্তি।
কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা: মো: মুজিবুর রহমান জানান, এ পর্যন্ত জেলায় এক হাজার তিনশত আটচল্লিশ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ২০ এপ্রিল পাঠানো ১২৬ জনের রিপোর্ট পেন্ডিং আছে। এ ছাড়া ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ১৭৫ জন কভিড-১৯ আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছে।
আক্রান্তদের বেশিরভাগই ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী। তাদের মধ্যে এক শিশুসহ তিনজন মারা যাওয়া ব্যক্তি রয়েছে। এ তিন জনেরই মারা যাওয়ার পর নমুনা পরীক্ষায় কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়ে।
মারা যাওয়া তিনজন হলো, করিমগঞ্জ উপজেলার জঙ্গলবাড়ি মুসলিমপাড়া গ্রামের সেলিম মিয়া (৪৬), কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের বড়বাজার টেনু সাহার গলি এলাকার নিতাই (৬০) এবং হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পানান গ্রামের ১০ বছর বয়সী শিশু মিজান।
সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান আরো জানান, করোনা ভাইরাসে আক্রান্তরা ভালো আছেন। তারা ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে ২৮ জন কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, ২ জন কুয়েত মৈত্রি হাসপাতালে, ৩ জন কুর্মিটোলা হাসপাতালে এবং ১ জন ময়মনসিংহের এসকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। অবশিষ্ট ১৩৮ জন বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।
এ পর্যন্ত জেলার ১৩টি উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ১৪ জন, হোসেনপুর উপজেলার ৩ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ১৬ জন, তাড়াইল উপজেলায় ২৪ জন, পাকুন্দিয়ায় উপজেলায় ৪ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ১২ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ১০ জন, ভৈরব উপজেলায় ৪৩ জন, নিকলী উপজেলায় ৫ জন, বাজিতপুর উপজেলায় ৬ জন, ইটনা উপজেলায় ১১ জন, মিঠামইন উপজেলায় ২৪ জন ও অষ্টগ্রাম উপজেলায় ৩ জন রয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



