
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে আশুলিয়ার ভাদাইল পবনারটেক এলাকায় মারকাজুল কুরআন ও সুন্নাহ মাদ্রাসা থেকে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ছলিম আহমদ মৌলভীবাজারের বড়লেখা থানাধীন মাইজগ্রাম এলাকার সমছ উদ্দিনের ছেলে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বুধবার আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, তিনি পেশায় একজন গাড়িচালক এবং তার স্ত্রী একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তাদের ১২ বছর বয়সী একমাত্র মেয়ে বাসাসংলগ্ন কওমি মাদ্রাসায় তৃতীয় শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। মাদ্রাসার শিক্ষক ছলিম আহমদ তার মেয়েকে বিভিন্ন সময় জড়িয়ে ধরে এবং শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দেয়।
তিনি মামলায় আরও বলেন, গত ১০ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে ওই শিক্ষক তার মেয়েকে ডেকে নিয়ে জড়িয়ে ধরে। একপর্যায়ে তার উপর হামলে পড়ে। এ সময় তার মেয়ে চিৎকারে করলে তাকে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনা কাউকে জানালে তাকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়া হয়। সেই থেকে ওই মেয়ে ওই মাদ্রাসায় যায় না। তাকে মাদ্রাসায় যেতে বললে কান্নাকাটি করে। একপর্যায় মেয়ে এসব ঘটনা জানালে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক ইউনুস বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে বুধবার এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর গ্রেপ্তারকৃতকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।


