জুমবাংলা ডেস্ক: সুপার ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ নিয়ে কাজ শুরু হয়ে গেছে স্থানীয় প্রশাসনগুলোতে। উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া শুরু হয়েছে ইতোমধ্যে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল গণমাধ্যমকে জানান, দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকার ১৯টি জেলার প্রশাসনকে জনগণের জীবন বাঁচাতে সার্বিক প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের হিসাবে ১৩ হাজার ৭৮টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত আছে। উপকূলের দিকে অগ্রসর হওয়া আম্ফানের কারণে সেখানে কমপক্ষে ১৮ থেকে ২০ লাখ লোককে বেরিয়ে আনার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
কামাল জানান, প্রচুর পরিমাণে চাল ও নগদ অর্থসহ শিশুরখাদ্য, শুকনো খাবার এবং গবাদি পশুদের খাদ্য উপকূলীয় অঞ্চলে জেলা প্রশাসনের বরাবর পাঠানো হচ্ছে।
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল গণমাধ্যমকে জানান, সাতক্ষীরায় দুটি এলাকা আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। একটি শ্যামনগরের পদ্মপুকুর অন্যটি সুন্দরবনের মধ্যে গোলাখালী। এসব জায়গা থেকে কাল রাত থেকেই শুরু হয়েছে মানুষ সরিয়ে নেয়া।
এখন পর্যন্ত ১৫০০ বৃদ্ধ, নারী ও শিশুদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে শেল্টারে।
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক নিশ্চিত করেছেন এখনো পর্যন্ত ১২৭২টি শেল্টার আছে।এসব জায়গায় মেডিকেল কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তারা তাপমাত্রা নিচ্ছেন এবং করোনাভাইরাস নিয়ে আলাদা ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, “যাদের করোনার উপসর্গ আছে তাদের আলাদা একটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং পরিবারগুলোকে এক রাখা হয়েছে যাতে সামাজিক যে দূরত্বের কথা বলা হচ্ছে সেটি নিশ্চিত করা যায়।”
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ.ন.ম আবুজর গিফারী বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। উপকূলীয় এলাকার গাবুরা ও পদ্মপুকুর ইউনিয়নের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত দেড় হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের উদ্ধারকারী দল প্রস্তুত রয়েছে। সিভিল প্রশাসনকে তারা সহযোগিতা করবে।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার জন্য প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবকরা একযোগে কাজ করছেন। আশ্রয় কেন্দ্রে যারা উঠছেন তাদের মাঝে শুকনা ও রান্না করা খাবার বিতরণ করছি। দূর্যোগ মোকাবেলার জন্য উপজেলায় ৫০ মেট্রিক টন চাল ও আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।