আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে আরোপিত কারফিউ ও জারিকৃত বিধিনিষেধ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রধান মিশেল বেচলেট। জেনেভায় হিউম্যানস রাইটস কাউন্সিলে এক বিবৃতিতে তিনি কাশ্মীরের মানুষকে তাঁদের সাধারণ অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন এবং অতিসত্ত¡র কারফিউ তুলে নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন।
সোমবার ইউএনএইচসিআর এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে মিশেল বেচলেট নয়াদিল্লিকে কাশ্মীরে মৌলিক সেবা নিশ্চিত এবং ৫ অগাস্ট থেকে আটককৃতদের অধিকার সুরক্ষার আহ্বান জানান। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘কাশ্মীরিদের মানবাধিকার নিয়ে আমি গভীরভাবে চিন্তিত। সেখানে যেভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করে রাখা হয়েছে, বিধি-নিষেধ আরোপ করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে, শান্তিপূর্ণ সম্মেলন করতে দেওয়া হচ্ছে না এবং স্থানীয় নেতাদের আটক করে রাখা হয়েছে, তা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।’
তিনি আরো বলেন, ‘চলমান অচলাবস্থা এবং কারফিউ নিয়ে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমি ভারত সরকারকে কাশ্মীরের মানবাধিকারকে সম্মান ও সুরক্ষার আহ্বান জানাচ্ছি। কাশ্মীরিদের মৌলিক সেবায় প্রবেশের সুযোগ দিতে হবে এবং যাদের আটক করা হয়েছে তাদের অধিকারকে সম্মান জানাতে হবে। কাশ্মীরের জনগণকে তাদের ভবিষ্যতকে প্রভাবিত করে এমন নীতি-নির্ধারণি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সংযুক্ত করতে হবে।’ মিশেল বেচলেট জানান, তার অফিস ক্রমাগত লাইন অব কন্ট্রোলের দু’ইপাশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করছে।
এই সময় আসামের নাগরিকত্ব পঞ্জি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এটি ১৯ লাখ মানুষকে অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগের মুখে ঠেলে দেবে। তিনি আরো বলেন, আমি ভারত সরকারকে এই বিপুল পরিমাণ মানুষের আপিলের প্রক্রিয়া, বিতাড়ন, আটক রোধ ও তাদের রাষ্ট্রহীন না করা নিশ্চিত করতে অনুরোধ করছি।
গত ৫ অগাস্ট ভারত জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ার পর থেকে সেখানে অচলাবস্থা চলছে। কারফিউ আরোপ, ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ সেবা বিচ্ছিন্ন ও ব্যাপক সেনা মোতায়েন করে কাশ্মীরকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা কাশ্মীরে বিধি-নিষেধ তুলে নেয়া ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছে। এদিকে ভারতের কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, দিনের বেলা সেখানে ৯০ ভাগ বিধি-নিষেধ তুলে নেয়া হয়েছে। সূত্র: আনাদুলু এজেন্মি, জি-নিউজ, এনডিটিভি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।