স্পোর্টস ডেস্ক: ১৯৮৮ সাল। বর্তমান ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের মাত্র দুই জন খেলোয়াড়ের জন্ম হয়েছে সেই বছরটির আগে—শ্যানন গ্যাব্রিয়েল ও কেমার রোচ। আর সেই সময়ই শেষবার এই ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবার সেই ইতিহাস ফিরিয়ে আনার মুখে দাঁড়িয়ে আছে জেসন হোল্ডারের দল।
আজ থেকে ম্যানচেস্টারে শুরু হচ্ছে ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টেস্ট। এই টেস্টটি কার্যত সিরিজের ফাইনালে পরিণত হয়েছে। প্রথম টেস্ট জিতে এগিয়ে গিয়েছিল ক্যারিবিয়রা। এরপর দারুণ প্রতাপের সঙ্গে দ্বিতীয় টেস্ট জিতে সিরিজে সমতা এনেছে স্বাগতিকরা। এবার সিরিজ নিষ্পত্তির পালা।
ইংল্যান্ড দল খুব ভালো ফর্মে নেই। তাদের হয়ে সিরিজটায় লড়ছেন আসলে অতিমানবীয় বেন স্টোকস। প্রথম টেস্টে গ্যাব্রিয়েল, হোল্ডার ও ব্লাকউডের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় টেস্টে স্টোকস একক বীরত্বে ম্যাচ বের করে এনেছেন। স্টোকসের সময়টা অনেক দিন ধরেই অসাধারণ যাচ্ছে। যেখানে হাত দিচ্ছেন, সেখানেই সোনা ফলছে। ফলে ইংল্যান্ডের আজ শুরু হওয়া টেস্টেও বাজি থাকবে মূলত স্টোকসের ওপর। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ চাইবে, ব্যাটে-বলে তাকে নিষ্ক্রিয় করে রাখতে।
ইংল্যান্ডের অবশ্য বাকি ব্যাটসম্যানদের কাছেও কিছু চাইতে হবে। তাদের ব্যাটিং লাইনআপ সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেনি। একা স্টোকস প্রতি ইনিংসে খেলে দিতে পারবেন না। ফলে রুটদের কিছু করার বিকল্প নেই। তবে দলটি ভালো অবস্থায় আছে বোলিং আক্রমণ নিয়ে। পেস বোলাররা তো সবাই ছন্দে আছেন।
প্রথম দুই টেস্টে পুরো ভিন্ন দুটি পেস আক্রমণ খেলিয়েছে ইংল্যান্ড। প্রথম টেস্টে অভিজ্ঞ জিমি অ্যান্ডারসনের সঙ্গে ছিলেন মার্ক উড ও জোফরা আর্চার। পরের টেস্টে স্টুয়ার্ট ব্রডের সঙ্গী ছিলেন ক্রিস ওকস ও স্যাম কারান। কেবল পেস বোলিং অলরাউন্ডার বেন স্টোকস ছিলেন দুই টেস্টেই। এখন সমস্যা হলো, ফর্মে থাকা এই ছয় পেসারের মধ্যে শেষ টেস্টে কোন তিন জন খেলবেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসাররাও খুব খারাপ অবস্থায় নেই। বিশেষ করে হোল্ডার বেশ ছন্দে আছেন। গ্যাব্রিয়েল বা রোচও খারাপ করছেন না। ক্যারিবিয়দের দুশ্চিন্তা হয়েছেন সেই হোপ আর জেসন ক্যাম্পবেল। এই দুই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান একেবারেই রান পাচ্ছেন না। হোপ তো টেস্টে নিজেকে খুঁজেই পাচ্ছেন না। ফলে শেষ টেস্টে এই দুই জনের একজন বাদ পড়ে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।