জুমবাংলা ডেস্ক: নিজ বাসভবনে দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তাকে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালের নিউরো ট্রমা সার্জারি বিভাগের প্রধান ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্য সচিব অধ্যাপক মো. জাহেদ হোসেন এ কথা জানান।
সব প্যারামিটারই ভালো জানিয়ে তিনি বলেন, ইউএনও ওয়াহিদাকে মুখে তরল খাবার দেওয়া হচ্ছে। ওয়াহিদার জ্ঞানের মাত্রা স্বাভাবিক মানুষের জ্ঞানের মাত্রার সমান। তার অন্যান্য অবস্থারও উন্নতি হয়েছে।
অধ্যাপক জাহেদ বলেন, শুধু শরীরের ডান দিকটা আগের মতোই অবশ। তার ফিজিওথেরাপি চলছে। ফিজিওথেরাপির পর কতটুকু উন্নতি হয়, সেটা সময় হলে বোঝা যাবে।
বুধবার রাত ৩টার দিকে উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে ইউএনওর বাসভবনের বাথরুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলা হয়।
আহত ওয়াহিদা খানমকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে তাকে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার আনা হয়। ওয়াহিদার বাবাকে ঘোড়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ওয়াহিদার বাবা নওগাঁ থেকে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। তার স্বামী মেজবাহুল হোসেন রংপুরের পীরগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তাদের তিন বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে।
হামলার ঘটনায় দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং সদস্য আসাদুল ইসলামসহ চারজনকে পুলিশ ও র্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে আটক করে। পরে ‘সম্পৃক্ততা না থাকায়’ জাহাঙ্গীরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার উপজেলা ভূমি অফিসের গাড়িচালক ইয়াসিন আলী (৩০) এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মী আরসোলা হেমব্রমকেও (৩৮) আটক করে পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।