আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বর্তমানে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি রাশিয়া ও প্রতিবেশি ইউক্রেনের মধ্যে। যেকোনও সময় যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে দুই দেশের মধ্যে। রাশিয়া দাবি, ইউক্রেন যেন কখনওই ন্যাটো সামরিক জোটের সদস্য না হয়। অন্যদিকে, ইউক্রেনের বক্তব্য- অস্তিত্ব রক্ষায় ন্যাটোতে যোগ দেওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা অর্জনকারী দেশটির। এমন পরিস্থিতিতে চরম উত্তেজনায় রয়েছে এই দুই দেশ। যেকোনও সময় যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে।
এই পরিস্থিতি একটা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে যে, হাঠৎ করে কেন ইউক্রেন নিয়ে এত আগ্রহ দেখাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন? যেখানে বারংবার বৈঠক এবং কূটনৈতিক দৌড়ঝাঁপের পরও পুতিনের নজর রয়েছে সাবেক সোভিয়েত দেশটিতে। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে- গোয়েন্দা রিপোর্ট ও স্যাটেলাইটে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, রাশিয়া এর আগে ২০১৪ সালে ইউক্রেনের যেসব জায়গা দখল করেছিল সেখানেই রুশ সেনা মোতায়েন করেছে, যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ওপুক ও ইয়েভপাটোরিয়া রেলইয়ার্ড। সেখানে ভারী যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে রাশিয়ান সেনা টহল দিচ্ছে।
অন্যদিকে সামরিক মহড়ার জন্য বেলারুশে সেনা পাঠিয়েছে মস্কো। গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়া ইউক্রেনকে তিন দিক থেকে ঘিরে রেখেছে। কিন্তু কেন? পুতিনের এতো আক্রোশের নেপথ্য আসলে কি? দেখা যায়, এই সংকট নতুন নয়। দীর্ঘ দিন ধরেই ইউক্রেনের দিকে পুতিনের নজর। এর আগেও একাধিতবার ইউক্রেনকে চাপে ফেলেছেন। দেশটিকে ২০০৬ সালে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় রাশিয়া। এভাবে গত ২২ বছরের ক্ষমতায় পুতিন নানাভাবে ইউক্রেনকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করেছেন।
সিএনএনের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, মূলত পুতিন ইউক্রেনকে রাশিয়ার অধীনে রাখতে চান। তিনি এই কাজে সফল হলে ২০৩৬ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে থাকতে পারবেন। পুতিন একটি ব্যক্তিগত সাম্রাজ্য বানাতে চান। সেই জন্যই তার নজর ইউক্রেনে। দেশটি এক সময় রাশিয়ার সঙ্গে ছিল। পরে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাই পুতিনের ইচ্ছা ইউক্রেনকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করা। পুতিন চান সব দেশ রুশপন্থি হোক। সে কারণেই পুতিন চান না ন্যাটোর নেতৃত্বাধীন জোটে কিয়েভ যোগদান করুক। সে জন্যই পুতিনের এত আয়োজন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।