আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেন সীমান্তে সেনা সংখ্যা আরও বাড়াচ্ছে রাশিয়া। ন্যাটোর পক্ষ থেকে বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এমন অভিযোগ করা হয়। তবে এর আগে মঙ্গলবার মহড়া শেষে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনাদের কিছু অংশ ঘাঁটিতে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি করে রাশিয়া। এরপর বিশ্বজুড়ে স্বস্তি দেখা গেলেও এখন ন্যাটোর পক্ষ থেকে ভিন্ন তথ্য জানানো হচ্ছে। খবর সিএনবিসির।
বুধবার সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে ন্যাটোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বুধবার ব্রাসেলসে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে। গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা সংকটের সম্মুখীন ইউরোপ। এ বিষয় নিয়েই মূলত আলোচনা হবে।
বৈঠক সামনে রেখে ন্যাটো প্রধান জেন স্টলটেনবার্গ বলেন, রাশিয়া সেনা প্রত্যাহার করছে কি না তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তবে এখনো উত্তেজনা কমার মতো কিছু দেখা যাচ্ছে না বরং দেখা যাচ্ছে মস্কো সীমান্তে সামরিক কার্যক্রম বাড়িয়ে যাচ্ছে।
স্টলটেনবার্গ আরও বলেন, রাশিয়া সব সময়ই সেনা এদিক-সেদিক করে। সুতরাং প্রকৃত প্রত্যাহার সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
বুধবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক ঘোষণায় জানান, সীমান্ত থেকে কিছু সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে পশ্চিমা নেতার সতর্ক করে জানান, বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ইন্টারফ্যাক্স জানায়, দেশজুড়ে ব্যাপক পরিসরে সামরিক মহড়া চলছে। তবে দক্ষিণ ও পশ্চিমের সামরিক জেলাগুলো তাদের মহড়া শেষ করেছে ও ঘাঁটিতে ফিরে আসতে শুরু করেছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সতর্ক করে জানায়, রাশিয়া যেকোনো সময় ইউক্রেনে আক্রমণ করতে পারে। এর মধ্যেই রাশিয়ার পক্ষ থেকে সেনা ফিরিয়ে নেওয়ার খবর আসে।
রাশিয়া শুরু থেকেই জানিয়ে আসছে ইউক্রেনে হামলা করার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। তবে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস বলেন, এ বক্তব্য প্রমাণ করতে হলে মস্কোকে অবশ্যই ইউক্রেন সীমান্ত থেকে পূর্ণ মাত্রায় সেনা প্রত্যাহার করতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।