আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গত দশদিন ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। এদিকে রাশিয়ার ‘বিশেষ অভিযান’ নামের আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি তিনটি হত্যাচেষ্টা থেকে রক্ষা পেয়েছেন। পরাক্রমশালী প্রতিপক্ষ রাশিয়ার বিরুদ্ধে অনমনীয়তা দেখানোর জন্য বিশ্ববাসীর পরিচিত মুখ হয়ে ওঠা জেলেনস্কি আগেই বলেছিলেন, তাঁর আশঙ্কা তিনিই রুশ অভিযানের এক নম্বর লক্ষ্যবস্তু। খবর এনডিটিভি’র।
ইউক্রেনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের খোদ রুশ গোয়েন্দারা সতর্ক করার পর ষড়যন্ত্রগুলো নস্যাৎ হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্টে দাবি করা হয়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে হত্যা করার জন্য দুটি আলাদা দল পাঠানো হয়েছিল।
তাদের একটি হলো রুশ আধাসামরিক বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ ও আরেকটি চেচেন বিদ্রোহীদের দল।
রাশিয়ার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) ইউক্রেনীয়দের কাদিরোভাইটদের একটি ইউনিট সম্পর্কে সতর্ক করেছিল। কাদিরোভাইট হচ্ছে চেনেনদের নিয়ে গড়া বিশেষ অভিজাত বাহিনী। জেলেনস্কিকে হত্যার জন্য পাঠানো হয়েছিল তাদের।
ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের সেক্রেটারি ওলেক্সি দানিলভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, প্রেসিডেন্টকে হত্যার চেষ্টা ‘ভেস্তে দেওয়া হয়েছে’। গত শনিবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উপকণ্ঠে চেচেন বিশেষ বাহিনীর লোকরা নিহত হন দাবি করে দানিলভ আরো বলেন, ‘আমি বলতে পারি যে আমরা এফএসবি থেকে তথ্য পেয়েছি যে তারা এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অংশ নিতে চাচ্ছে না। ’ এফএসবির যুদ্ধবিরোধী অংশ এসব তথ্য ইউক্রেনীয়দের দিয়ে দেয় বলে জানা গেছে।
যুদ্ধ শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে ইউক্রেন থেকে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল, কিন্তু জেলেনস্কি তা প্রত্যাখ্যান করেন। এর পরিবর্তে রুশ হামলার মধ্যে সুরক্ষা স্কোয়াড ও নিকটজনের সহযোগিতায় কিয়েভেই অবস্থান করতে চান তিনি।
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির এই সিদ্ধান্ত সারা বিশ্বে প্রশংসা কুড়ায়। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ জাতির উদ্দেশে ভাষণে জেলেনস্কিকে ‘সততা, স্বাধীনতা ও সাহসের প্রতিচ্ছবি’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
জেলেনস্কি নিজেকে রাশিয়ার আগ্রাসনের এক নম্বর লক্ষ্যবস্তু মনে করলেও বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনাকে যুদ্ধ শেষের একমাত্র পথ বলে অভিহিত করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।