ইউটিউব এখন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য জনপ্রিয়তায় শীর্ষ প্ল্যাটফর্ম। তবে এখানেও রয়েছে কঠোর কমিউনিটি গাইডলাইন অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার মতো। চাইলেও সব বিষয় নিয়ে এখানে কনটেন্ট বানানো যায় না। ইউটিউভ পলিসির মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু বিষয় নিয়ে ভিডিও বানানো বা সেগুলো সম্পর্কে কথা বললে স্ট্রাইক পেতে পারেন আপনার ইউটিউব চ্যানেলে।
আর টানা ৯০ দিনের মধ্যে তিনটি স্ট্রাইক পেলে আপনার চ্যানেল স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। আপনার চ্যানেল যতো বড় আর জনপ্রিয় হোক না কেন তিনটি স্ট্রাইক পেলে সেটি আর ফেরানো সম্ভব নয়। সুতরাং কোন কোন বিষয়বস্তু নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করলে ইউটিউবে নিষিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকি থাকে সেগুলো জানাটা জরুরি। এখানে এমন গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি বিষয়বস্তু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
১. স্প্যাম এবং প্রতারণামূলক কনটেন্ট
ইউটিউবের কমিউনিটি গাইডলাইন অনুসারে, স্প্যাম এবং প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের যেসব বিষয় অন্তুর্ভুক্ত-
ক. বিভ্রান্তিকর মেটাডেটা বা থাম্বনেইল
আপনার মেটাডেটা এবং থাম্বনেইল বিভ্রান্তিকর বলে ধরা হবে যদি:
আপনার শিরোনাম ভিডিওর বিষয়বস্তুর সঙ্গে না মেলে।
আপনার থাম্বনেইল ভিডিওর প্রকৃত বিষয়বস্তু প্রতিফলিত না করে।
ভিডিওতে ক্লিক করায় প্রলুব্ধ করতে দর্শকদের বোকা বানানোর জন্য বিবরণে (ডেসক্রিপশন) ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তথ্য দেওয়া।
ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর ট্যাগ দেওয়া।
খ. ভিডিও স্প্যাম
আপনি ভিডিও স্প্যাম করছেন বলে ধরা হবে যদি আপনার কনটেন্ট:
একটি কনটেন্ট দেখানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভিউয়ারদের সম্পর্কিত নয় এমন (অফ-সাইট) সাইটে পুনঃনির্দেশ (রিডিরেক্ট) করে।
ক্ষতিকর সফটওয়্যার ছড়ানো, ব্যক্তিগত ডেটা সংগ্রহ করা বা অন্য কোনও ক্ষতিকর কার্যকলাপে জড়িত সাইটগুলোতে ভিউয়ারদের নিয়ে যায়।
দর্শকদের প্রলুব্ধ করার জন্য দ্রুত অর্থ প্রাপ্তির প্রতিশ্রুতি দেয়।
গ. মন্তব্য স্প্যাম
মন্তব্য স্প্যামের মধ্যে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত:
মন্তব্যের একমাত্র লক্ষ্য যদি হয় দর্শকদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা।
প্রতারণামূলকভাবে দর্শকদের অফ-সাইটে নিয়ে যাওয়া।
অথবা অন্যান্য নিষিদ্ধ আচরণকে প্রশ্রয় দেওয়া।
ঘ. পুনরাবৃত্তিমূলক মন্তব্য
একই ধরনের বিপুল পরিমাণ কনটেন্ট দেওয়া। অথবা বিষয়বস্তুর বাইরে বা অপ্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে কথা বলা। এতে মন্তব্য বিভাগে একটা জগাখিচুড়ি অবস্থা তৈরি করে।
ঙ. অনিয়ম/দুর্নীতি
আপনার কনটেন্ট অনিয়ম বা দুর্নীতি করছে বলে ধরা হবে যদি-
প্রণোদনা হিসাবে নগদ উপহার অফার করেন।
দ্রুত ধনী হওয়ার কৌশল বা স্কিম প্রচার করেন।
পিরামিড স্কিমের (এমএলএম এর মতো) পক্ষের প্রচারণা চালানো।
চ. লাইভ স্ট্রিমের অপব্যবহার
আপনি ইউটিউবের কনটেন্ট গাইডলাইন লঙ্ঘন করছেন বলে ধরা হবে, যদি আপনি অন্যের কনটেন্ট লাইভ স্ট্রিম করেন এবং বারবার সতর্ক করার পরেও সেই কনটেন্ট নামাতে অস্বীকার করেন।
ছ. অন্যান্য নিষিদ্ধ স্প্যাম এবং প্রতারণামূলক চর্চা এড়ানোর জন্য ইউটিউব আরও কিছু বিষয়বস্তুকে সন্দেহের তালিকায় রাখে:
একজন ব্যক্তি, ব্র্যান্ড বা সত্তাকে এমনভাবে নকল করা যাতে সেই সাদৃশ্যে ভিউয়াররা সত্যি সত্যি বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে আপনিই সেই ব্যক্তি বা ব্র্যান্ড।
পর্নোগ্রাফি বা ম্যালওয়্যারযুক্ত সাইটের মতো ওয়েবসাইটগুলোর লিংক যুক্ত করে এক্সটারনাল লিংক সুবিধার অপব্যবহার করা।
লাইক, ভিউ, কমেন্ট, শেয়ার ইত্যাদির সংখ্যা বাড়ানোর জন্য অনৈতিক উপায় অবলম্বন করা।
নীতিমালা লঙ্ঘনের কারণে রেসট্রিক্টেড বা স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ হওয়া কোনো ক্রিয়েটরের মুছে ফেলা কনটেন্ট পুনরায় পোস্ট করা।
২. সংবেদনশীল বিষয়বস্তু
শিশুদের ক্ষতি, যৌনতা এবং নগ্নতা, নিজের ক্ষতি করতে উৎসাহিত করে এমন কনটেন্ট ইউটিউব কোনোভাবেই অনুমতি দেয় না। এসব কনটেন্টকে ইউটিউব সংবেদনশীল বলে মনে করে। এ তালিকায় যা রয়েছে:
ক. নগ্নতা এবং যৌন বিষয়বস্তু
একজন ইউটিউব ক্রিয়েটর হিসেবে, আপনার যৌন তৃপ্তিদায়ক বিষয়বস্তু পোস্ট করার অনুমতি নেই।
ইউটিউবের মতে, নগ্নতা এবং যৌন বিষয়বস্তুতে রয়েছে:
পর্নোগ্রাফি বা অ-পর্নোগ্রাফিক ক্লিপ, যেখানে যৌন তৃপ্তির জন্য সুস্পষ্ট বিষয়বস্তু রয়েছে।
ফেটিশ (কামনা উদ্রেগকারী), যৌনাঙ্গ বা তেমন বস্তু হাতড়ানো, শিৎকার, প্রকাশ্যে হস্তমৈথুন করা, নিম্নাঙ্গের ছবি/ভিডিও, অন্যের সঙ্গম দেখে মজা নেওয়া, কামুকতার প্রদর্শনী।
যৌনাঙ্গ, স্তন বা নিতম্ব (ঢাকা বা বস্ত্রহীন উভয়)।
সম্মতি ছাড়াই যৌনতাপূর্ণ আচরণ।
খ. আপত্তিকর থাম্বনেইল
ইউটিউবের থাম্বনেইল নীতিতে কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘন করে এমন কিছু দেওয়া নিষিদ্ধ। এসব থাম্বনেইল এড়িয়ে চলুন:
ক্লিকবেট হিসেবে কাজ করে, দর্শকদের প্রতারিত করে ক্লিক বাড়ানোর উদ্দেশ্যে থাম্বনেইল ছবি ব্যবহার।
যৌন তৃপ্তির উদ্দেশ্যে পর্নোগ্রাফিক, নগ্ন বা খোলামেলা ছবি দেওয়া।
হিংসাত্মক, সহিংস এবং জঘন্য ছবি দেওয়া।
রক্ত বা রক্ত দিয়ে গ্রাফিক বা অস্বস্তিকর ছবি ব্যবহার করা।
অশ্লীল বা অমার্জিত ভাষা ব্যবহার করা।
গ. শিশুর ক্ষতি
শিশুদের নিরাপত্তার কথা ভাবে না এমন কনটেন্ট ইউটিউব গ্রহণ করে না। বয়স-অনুপযুক্ত বিষয়বস্তু এড়িয়ে চলা বলতে যা বুঝায়:
নাবালকদের যৌনতা এবং যৌন কাজে ব্যবহার।
অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিপজ্জনক বা ক্ষতিকারক কাজ।
অশ্লীলতা বা অন্যান্য প্রাপ্তবয়স্কদের বিষয়বস্তু পারিবারিক কনটেন্টে জুড়ে দেওয়া।
নাবালকদের মানসিক পীড়ন দেওয়া।
সাইবার বুলিং এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের যেকোনো প্রকারের হয়রানি।
ঘ. আত্মহত্যা এবং নিজের ক্ষতি সাধন
আত্মহত্যা বা অন্য ধরনের নিজের ক্ষতি সাধনকে উৎসাহিত করে এমন কন্টেন্ট ইউটিউবে দেওয়া যাবে না। এর মধ্যে রয়েছে:
আত্মহত্যা বা নিজের ক্ষতি সাধনকে উৎসাহিত করে প্রচার বা এমন বিষয়কে মহিমান্বিত করা।
কীভাবে আত্মহত্যা করা যায় বা নিজের ক্ষতি সাধন করা যায় সেসব শেখানো।
অপ্রাপ্তবয়স্কদের লক্ষ্য করে নিজের ক্ষতি সাধনের গ্রাফিক ছবি বা ফুটেজ দেওয়া।
মোমো-এর মতো আত্মহত্যা বা নিজের ক্ষতি সাধনের চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণের নির্দেশিকা প্রদান বা এ ধরনের কাজে উৎসাহিত করে এমন কনটেন্ট।
৩. হিংসাত্মক বা বিপজ্জনক বিষয়বস্তু
ক্ষতিকারক বা বিপজ্জনক এবং অবৈধ কার্যকলাপকে উৎসাহিত করে এমন কনটেন্ট ইউটিউবে দেওয়া যাবে না। ইউটিউবের নীতি অনুসারে বিপজ্জনক এবং ক্ষতিকারক কনটেন্ট সেগুলোই যার মধ্যে রয়েছে:
অত্যন্ত বিপজ্জনক চ্যালেঞ্জ প্রচার করে যা শারীরিক আঘাতের ঝুঁকি তৈরি করে।
ক্ষতিকারক এবং হুমকিমূলক প্রাঙ্ক উৎসাহিত করে।
শক্তিশালী মাদকের ব্যবহার বা তৈরি শেখায়।
হত্যা বা নিজের ক্ষতি সাধনের নির্দেশিকা রয়েছে।
প্রতারণা, চুরি এবং অসৎ আচরণকে উৎসাহিত করে।
অনৈতিক হ্যাকিং প্রচার করে।
ব্যবহার করা পরিষেবার জন্য পেমেন্ট বাইপাস শেখানো। যেমন: পণ্য বা সেবা কিনে টাকা না দেওয়ার কৌশল।
অ্যানোরেক্সিয়া (খাদ্যে অহীহা) বা অন্যান্য খাদ্যগ্রহণ সম্পর্কিত ব্যাধিকে স্বাভাবিক বলে প্রতিষ্ঠিত করে। সেই সঙ্গে দর্শকদের তাকে অনুকরণ করতে উৎসাহিত করে।
স্কুলে গোলাগুলির মতো ঘটনার প্রশংসা বা মহিমা বর্ণনা করা।
সহিংস অপরাধী সংগঠন, ঘৃণাত্মক বক্তব্য, গ্রাফিক বা হিংসাত্মক কাজ এবং হয়রানি এবং সাইবার বুলিংকে মহিমান্বিত করে এমন কনটেন্টেও বিধিনিষেধ রয়েছে।
৪. ভুল তথ্য
বিভ্রান্তিকর বা প্রতারণামূলক তথ্য ছড়ায় এমন কনটেন্ট ইউটিউব অনুমোদন দেয় না কারণ এসব গুরুতর হুমকি বা ক্ষতির কারণ হতে পারে। এই ধরনের বিষয়বস্তুর মধ্যে রয়েছে:
ক. নির্বাচনের ভুল তথ্য
আপনি ইউটিউবে নির্বাচন-সম্পর্কিত কনটেন্ট পোস্ট করতে পারবেন না যদি এতে থাকে:
মাধ্যম, স্থান, সময় বা ভোট দেওয়ার যোগ্যতার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ভোটারদের বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে কোনো বিষয়। এটি ভোটারদের বিভ্রান্ত করে ভুল পথে পরিচালিত করে।
প্রার্থীদের বদনাম করার জন্য যোগ্যতা নিয়ে মিথ্যাচার।
বিগত নির্বাচনগুলোতে নির্বাচনী অনিয়মের মিথ্যা দাবি।
হ্যাক করা তথ্য যার প্রকাশ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে।
নির্বাচনী বা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে অন্যদের উৎসাহিত করা ফুটেজ।
খ. কোভিড-১৯ সম্পর্কিত ভুল তথ্য
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং কোভিড সম্বন্ধে ভুল তথ্য সম্বলিত কনটেন্ট ইউটিউবে প্রচার করা নিষিদ্ধ। এর মধ্যে রয়েছে এমন কনটেন্ট যা:
দাবি করে যে কোভিডের অস্তিত্ব নেই।
সামাজিক দূরত্বের বিষয়ে অনুমোদিত নির্দেশিকা নিয়ে বিতর্ক।
কীভাবে কোভিড সংক্রমণ ঘটে সে সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য রয়েছে।
কোভিড পরীক্ষা পদ্ধতির বিরোধিতা করে।
কীভাবে কোভিড সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যায় সে সম্পর্কে মিথ্যা প্রচার করে।
কোভিডের চিকিৎসা সম্পর্কে জনসাধারণকে ভুল তথ্য দেয়।
গ. টিকা নিয়ে ভুল তথ্য
বর্তমানে অনুমোদিত এবং প্রয়োগ করা হচ্ছে এমন টিকা সম্পর্কে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করে এমন কনটেন্ট ইউটিউব অনুমতি দেয় না। এমন কন্টেন্ট পোস্ট করবেন না যেটি:
স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের দ্বারা স্বীকৃত তথ্যের বাইরে অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে- টিকা সম্পর্কে এমন তথ্য রয়েছে।
টিকাদানের কার্যকারিতার বিরোধিতা করে।
টিকার প্রকৃত বিষয়বস্তু বা উপাদান সম্পর্কে ভিউয়ারদের বিভ্রান্ত করে।
৫. নিয়ন্ত্রিত পণ্য
ইউটিউব এমন সামগ্রীকে নিরুৎসাহিত করে যা আগ্নেয়াস্ত্রসহ অবৈধ বা নিয়ন্ত্রিত পণ্য বা পরিষেবার বিক্রয় বা ব্যবহারকে প্রচার করে। এতে অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য বিষয়বস্তু হলো-
মদ (সব ধরনের অ্যালকোহল)।
নিকোটিন, ভ্যাপিং পণ্য।
চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধপত্র।
লাইসেন্সবিহীন চিকিৎসা সেবা।
যৌন বা এসকর্ট পরিষেবা।
বিপন্ন প্রজাতি বা তাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ।
অবৈধ মাদক ও নিয়ন্ত্রিত মাদকদ্রব্য।
আগ্নেয়াস্ত্র এবং নিয়ন্ত্রিত আগ্নেয়াস্ত্র আনুষঙ্গিক বিষয়।
মানবপাচার এবং অঙ্গ বিক্রি।
সবশেষ কথা হলো- ইউটিউব তার ভিউয়ারদের নিরাপত্তার কথা ভেবে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের সব সময় গাইডলাইন মেনে চলতে উৎসাহিত করে। সফল কনটেন্ট ক্রিয়েটর হতে চাইলে আগে অবশ্যই এই গাইডলাইন ভালোভাবে পড়ে নিতে হবে। তা না হলে স্ট্রাইকের পাশাপাশি অন্যরা আপনার ভিডিও বা চ্যানেলে রিপোর্ট করতে পারে।
আপনার ভিডিও দোষী প্রমাণিত হলে, ইউটিউব আপনার ভিডিও সরিয়ে দিতে পারে। বারবার একই অপরাধ করলে স্ট্রাইট প্রয়োগ হবে। আর ৯০ দিনের মধ্যে তিনটি স্ট্রাইক পেলে ইউটিউব আপনার চ্যানেল স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।