জুমবাংলা ডেস্ক : শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ‘দ্য ট্রি অব পিস’সম্মাননা নিয়ে ইউনূস সেন্টারের বক্তব্যের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা দাবি করেছে বাংলাদেশ ইউনেসকো জাতীয় কমিশন (বিএনসিইউ)।
আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। ব্যাখ্যা না দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
গত ১০ এপ্রিল বাংলাদেশ ইউনেসকো জাতীয় কমিশনের (বিএনসিইউ) ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল জুবাইদা মান্নান স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলিপি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, ড. ইউনূস পরিচালিত ইউনূস সেন্টার থেকে পাঠানো এবং প্রচারিত ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও প্রতারণামূলক’ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি অনতিবিলম্বে সংশোধন করে ইউনূস সেন্টারের অফিশিয়াল ওয়েব পেজ থেকে অপসারণ এবং আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য বলা হলো। ব্যাখ্যা দিতে অপারগ হলে তার বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা বিএনসিইউকে লিখিতভাবে জানানোর অনুরোধ করা হলো।
এ বিষয়ে বুধবার শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস কর্তৃক পুরস্কার নিয়ে মিথ্যাচারের বিষয়ে ইউনেসকো প্রধান কার্যালয়কে অবহিত এবং সতর্ক করা হয়েছে।’
গত ২১ মার্চ ইউনূস সেন্টারের এক বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, আজারবাইজানের বাকু সম্মেলনে ইউনেসকো থেকে ‘দি ট্রি অব পিস’ সম্মাননা পেয়েছেন ড. ইউনূস। গত ২৭ মার্চ শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল জানান, ইউনেসকো থেকে ইউনূসকে কোনো সম্মাননা দেওয়া হয়নি। বাকু সম্মেলনে নিজামি গানজাভি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার নামের একটি সংস্থার আমন্ত্রণে ইউনূসকে সম্মাননা স্মারক দেন ইসরায়েলি ভাস্কর হেদভা সার।
ঘটনার সত্যতা জানতে ২৭ মার্চ ভাস্কর হেদভা সার ও ইউনেসকোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। হেদভা সার জানান, ‘বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী একেবারে সঠিক। ট্রি অব পিস পুরস্কার ইউনেসকো নয়, নিজামি গানজাভি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়।’
Get the latest Zoom Bangla News first — Follow us on Google News, Twitter, Facebook, Telegram and subscribe to our YouTube channel.