জুমবাংলা ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী প্রশংসায় ভাসছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। গত শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণের পর তাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন অনেকে।
ভাষণে চলমান যুদ্ধাবস্থা থেকে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা, দারিদ্র্য বিমোচন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন, বাংলাদেশে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান, পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনা, রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনসহ চলমান আলোচিত নানা ইস্যু তুলে ধরেন তিনি।
স্বপ্ন দেখান নতুন এক বাংলাদেশের। আর সেই স্বপ্নপূরণে বিশ্বসম্প্রদায়ের সহযোগিতাও চান তিনি। শুধু তাই নয়, জাতিসংঘ অধিবেশন কেন্দ্র করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রভাবশালী দেশ ও সংস্থার প্রধান এবং তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ফলপ্রসূ বৈঠককে সবচেয়ে সফলতম বিষয় হিসেবে উল্লেখ করছেন বিশ্লেষকরা, যা এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত করবে বলে বিশ্বাস তাদের।
ড. ইউনূস জাতিসংঘে যখন ভাষণ দিচ্ছিলেন, তখন মুহুর্মুহু করতালিতে অভিনন্দন জানান অধিবেশনে উপস্থিত বিশ্বনেতারা। ভাষণের পর এক ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক সাংবাদিকদের জানান, জাতিসংঘে ড. ইউনূসের দেওয়া ভাষণের প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
ইউনূসের ভাষণকে যুগান্তকারী হিসেবে উল্লেখ করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন কমিউনিটির নেতারা। তারা বলছেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কারে তরুণদের অবদান তুলে ধরার পাশাপাশি বৈশ্বিক নানা সংকট সমাধানের তাগিদ দেওয়ায় এ বক্তব্য সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।
জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে মাত্র চার দিনের এ সফরে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা, আইএমএফের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইসহ মোট ১২টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ড. ইউনূস। অংশ নিয়েছেন সাধারণ পরিষদের অধিবেশনসহ ৪০টি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে।
জাতিসংঘের ভাষণ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনরা প্রশংসার ভাসাচ্ছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে। শুধু তাই নয়, তারা বলছেন, উনার মতো রাষ্ট্রপ্রধান থাকলে বাংলাদেশ অচিরেই উন্নত রাষ্ট হিসেবে পরিণত হবে।
ডা. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, আমি যতই এই ভাষণ দেখি ততই মুগ্ধ হই। মহান আল্লাহ ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারকে দীর্ঘ নেক হায়াত দান করুক। আমাদের দেশের জন্য আল্লাহ তাকে রহমত হিসেবে কবুল করুক- আমিন।
সামসুল আহাদ নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। কারণ তিনি ফিলিস্থিনের পক্ষে কথা বলেছেন। যারা বলে তিনি ইসরায়েলের সার্পোটার, তাদের গালে চপেটাঘাত দিয়েছেন। এছাড়া পাঁচারকৃত টাকা আনার বিষয় উল্লেখ করেছেন ইউনূষ, এজন্যও আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
জামাল উদ্দিন নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, এতবেশি বয়সেও কাগজ ছাড়া সাবলীল বাংলায় জ্ঞানগর্ভ বক্তৃতা দেওয়ায় তাঁর যোগ্যতার প্রতি সন্মান জানাচ্ছি। মহান আল্লাহর নিকট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
শাহিদুর রহমান নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ধন্যবাদ ডক্টর ইউনুস স্যারকে ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলার জন্য।
মো. জামাল উদ্দিন নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ অসাধারণ বক্তব্য দিয়েছেন স্যার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।