জুমবাংলা ডেস্ক : ভোলার লালমোহনে বাজার ইজারা নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (১৮ নভেম্বর) বদরপুর ইউনিয়নের দেবিরচর বাজারে দফায় দফায় এই সংঘর্ষ হয়।
আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বদরপুর ইউনিয়ন বিএনপির (উত্তর) সভাপতি শহিদুল্যাহ মেলকার গ্রুপ ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামাল গ্রুপের মধ্যে বাজার ইজারা নিয়ে সোমবার সকালে কথা কাটাকাটি হয়।
এ ঘটনার এক পর্যায়ে শহিদুল্যাহ মেলকারের লোকজন বগি দা, ছেনি, রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কামালের লোকজনদের ওপর হামলা চালায়। পরে তাদের প্রতিহত করতে গিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এ সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
বদরপুর ইউনিয়নের দেবিরচর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হুইচ বলেন, ‘৫ আগস্টের পর শহিদুল্যাহ মেলকার ও তার লোকজন দেবিরচর এলাকায় বিভিন্ন চাঁদাবাজি শুরু করেন।
তারা স্থানীয় নূর ইসলামের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা নেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে তারা আমার ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে। পরে উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দকে জানালে তারা দুই পক্ষকে মিলিয়ে দেন এবং চাঁদা টাকার ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হন শহিদুল্যাহ মেলকার। মূলত এ নিয়েই তার সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘দেবিরচর বাজারের ইজারাদার আসাদ মেলকারের কাছ থেকে বাজারের খাজনা উঠানোর জন্য কিনে নেই। তবে শহিদুল্যাহ মেলকার আমাকে বাজার থেকে খাজনা তুলতে দিচ্ছিলেন না। শহিদুল্যাহ মেলকার ও তার লোকজন আমাদেরকে বাজারে খাজনা উঠাতে বাধা দিতেন। এমনকি আমাদেরকে মারধর করার জন্য রবিবার বিভিন্ন এলাকা থেকে সন্ত্রাসী ভাড়া করে আনেন। বিষয়টি জানার পর রবিবার রাতেই থানায় অবহিত করেছি। তখন থানা থেকে আমাকে বলা হয়েছে, সমস্যা হলে তাদেরকে জানাতে।’
তিনি বলেন, ‘সোমবার সকালে শহিদুল্যাহ মেলকার ও তার লোকজন আমাদের লোকজনের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। তখন বিষয়টি আমরা লালমোহন থানা পুলিশ ও নৌ বাহিনীকে জানাই। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই শহিদুল্যাহ মেলকার ও তার লোকজন আরো বেপরোয়াভাবে আমাদের ওপর হামলা চালাতে থাকে। আমরাও তাদেরকে প্রতিহত করার চেষ্টা করি।’
বদরপুর ইউনিয়ন উত্তর শাখা বিএনপির সভাপতি শহিদুল্যাহ মেলকারের মুঠোফোনে কল দিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি কল কেটে দেন। এরপর একাধিকবার চেষ্টা করলেও তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, দেবিরচর বাজারের ইজারাকে কেন্দ্র করে অনেক দিন ধরে ঝামেলা চলছিল। বিএনপির নেতৃবৃন্দ বিষয়টি মীমাংসা করার একাধিকবার চেষ্টাও করেছে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তবে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।