শুধু ইভান খালাসী নন, এই দালালচক্রের প্রতারণার শিকার পাঠানকান্দির নাইম হাওলাদার, হরিদাসদির সফিকুল ইসলাম নয়ন, রায়হান হোসেনসহ অনেক যুবক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই চক্রের মূল হোতা নোয়াখালীর কবিরহাট এলাকার আবুল বাশার সুমন।
অভিযুক্ত বেলায়েত হাওলাদারের বাবা মোতালেব হাওলাদার বলেন, ‘আমার ছেলের সাথে দুই বছর ধরে কোনো যোগাযোগ নেই। বেলায়েত কাকে কিভাবে কোথায় নিবে, সেটা আমি জানি না।’বেলায়েতের শাশুড়ি আসমিনা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে জামাই বেলায়েত টাকা নিতে বলেছে, আমি সেই টাকা ইভানদের বাড়িতে গিয়ে গ্রহণ করেছি। ইভান আমাদের আত্মীয়। টাকা নিয়ে ইতালি নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমার মেয়ে জামাই অন্য এক লোকের মাধ্যমে কথা বলেছিল, মূলত সেই লোক প্রতারণা করেছে। এই ঘটনায় ইভান আদালতে মামলা করেছে। এখন আমরা আদালতেই সবকিছুই বুঝবো।’
মাদারীপুর আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মামুন খান বলেন, ‘লোভে পড়ে যুবকরা বার বার প্রতারণার শিকার হচ্ছে। পরে বিচারের আশায় আদালতে মামলা করছেন কেউ কউ। যুবকরা যদি দালালদের কাছে না যায়, তাহলে প্রতারিত হবার কোনো সুযোগ নেই।’
মাদারীপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘এমন ঘটনায় মাদারীপুর আদালতে দায়ের করা একাধিক মামলা তদন্ত করছে গোপালগঞ্জ জেলার পিবিআই কর্মকর্তারা। এছাড়া প্রত্যেকটি মামলা মাদারীপুর জেলা পুলিশ নিখুঁতভাবে তদন্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। অনেকে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যুবকরা সচেতন হলে এই প্রতারকদের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে। সচেতনার বিকল্প কিছুই নেই।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।