উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের এবারের আসরে এসে ইতিহাস গড়ল চারটি নতুন ক্লাব। সাইপ্রাসের পাফোস এফসি, নরওয়ের বোডো/গ্লিমট, কাজাখস্তানের কাইরাত আলমাটি ও বেলজিয়ামের ইউনিয়ন সেইন্ট-জিলোয়া প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিয়েছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরের মূলপর্বে।
মঙ্গলবার রাতে প্লে-অফ পর্ব শেষ হওয়ার পর নিশ্চিত হয় তাদের এই ঐতিহাসিক সাফল্য।
মাত্র ১১ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত পাফোস এফসি রেড স্টার বেলগ্রেডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের মূলপর্বে উঠেছে।
দ্বিতীয় লেগে সার্বিয়ান জায়ান্টদের মাঠে শেষ মুহূর্তে ১–১ ড্র করলেও, দুই লেগ মিলিয়ে ৩–২ গোলে জয় নিশ্চিত করে তারা।
এর আগে কোয়ালিফাইং রাউন্ডে পাফোস হারিয়েছে ম্যাকাবি তেল আবিব ও ইউক্রেনের ডায়নামো কিয়েভকে। দলটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ৩৮ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ডেভিড লুইজ। আর্সেনাল ও চেলসির সাবেক তারকাকে দলে টেনে নিয়েছে তারা।
সাইপ্রাস থেকে এর আগে কেবল অ্যাপোয়েল ও আনোরথসিস ফামাগুস্তা খেলেছিল চ্যাম্পিয়নস লিগে।
এদিকে, অস্ট্রিয়ার স্টার্ম গ্রাজকে দুই লেগে ৬–২ ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের মূলপর্বে জায়গা করে নিয়েছে নরওয়ের বোডো/গ্লিমট। দ্বিতীয় লেগে ২–১ গোলে হারলেও প্রথম লেগের বড় জয়ে মিলল কাঙ্ক্ষিত টিকিট।
আর্কটিক সার্কেলের উত্তরে অবস্থিত ছোট্ট শহরের এই ক্লাবটির মাঠ আস্পমিরা স্টেডিয়ামে দর্শক ধারণক্ষমতা মাত্র ৮ হাজার ২৭০।
২০০৭–০৮ মৌসুমের পর এই প্রথম কোনো নরওয়েজিয়ান ক্লাব জায়গা করে নিল চ্যাম্পিয়নস লিগে। গত মৌসুমে তারা ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে উঠেছিল।
তবে সবচেয়ে বড় চমক এসেছে কাজাখস্তান থেকে। কাইরাত আলমাটি টাইব্রেকারে হারিয়েছে স্কটিশ জায়ান্ট ও সাবেক ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন সেল্টিককে। এর ফলে আস্তানার পর দ্বিতীয় কাজাখ ক্লাব হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা করে নিল তারা।
কাইরাতের মাঠে খেলতে যাওয়া ইউরোপীয় ক্লাবগুলোর জন্য বড় ভ্রমণ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। গত মৌসুমেই চেলসিকে প্রায় ৩,৬০০ মাইল ভ্রমণ করে খেলতে হয়েছিল কনফারেন্স লিগে।
এছাড়া, গত মৌসুমে বেলজিয়ান প্রো লিগের চ্যাম্পিয়ন হয়ে সরাসরি চ্যাম্পিয়নস লিগের মূলপর্বে জায়গা নিশ্চিত করেছে ইউনিয়ন সেইন্ট-জিলোয়া।
মোনাকোতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার চ্যাম্পিয়নস লিগের মূলপর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ মাঠে গড়াবে ১৬ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বরে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।