সম্প্রতিক টয়োটা কোম্পানি এমন একটা গাড়ি তৈরি করতে চলেছে যেটাতে আমরা পেট্রোল এর পরিবর্তে পানি ব্যবহার করতে পারব। আর ধারণা করা হচ্ছে এর ফলে প্রায় সব গাড়ি কোম্পানি এমনকি ইলন মাস্কেট টেসলা যেটা কিনা সবথেকে পরিবেশ বান্ধব গাড়ি হিসেবে নিজেকে দাবি করছে সেটাকে ছাড়িয়ে যাবে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো এই পানি কিন্তু বর্তমান সময়ে ইঞ্জিনের সবচাইতে বড় শত্রু।
এখন প্রশ্ন হল টয়োটা কিভাবে এরকম কিছু করবে? টয়োটা হল এমন একটা কোম্পানি যারা কখনোই কোন ট্রেন্ড ফলো করে না বরং তারা নিজেরাই একটা ট্রেন্ড তৈরি করে ও অন্যান্য বড় কোম্পানিগুলো তা ফলো করে। আর এজন্যই তাদের একমাত্র শক্তি হলো ইনোভেশন।
আর তাইতো 1990 সালে যখন পুরো পৃথিবী ইলেকট্রিক গাড়ির কথা চিন্তা করতে পারছিল না তখন টয়োটাই পৃথিবীর প্রথম হাইব্রিড ইলেকট্রিক গাড়ি নিয়ে আসে। আর এভাবেই গাড়ির বাজারে ইভিএস বা ইলেকট্রিক গাড়ির একটা ট্রেন্ড সেট করে দেয় কিন্তু টয়োটা নিজেই নিজেদের এই সাফল্যে খুশি হতে পারছিল না।
কারণ সেই ইলেকট্রিক কাজ যখন পুরো পৃথিবী জুড়ে পরিচিত হচ্ছিল তখন তারা এই গাড়িতে বড় কিছু সমস্যা দেখতে পায় আর তখন এই গাড়ির উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। তারা দুইটা বড় সমস্যা দেখতে পায় প্রথমত ইলেকট্রিক কার একটা পরিবেশবান্ধব গাড়ী হলেও একে চার্জ করার জন্য চার্জিং স্টেশনগুলোতে যে শক্তি জমা করা হয় সেগুলো কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, ডিজেল এগুলো থেকে আসে যেগুলো পরিবেশ দূষণের অন্যতম বড় কারণ।
তবে তাদের এই সমস্যার একটা সমাধান হতে পারে হাইড্রোজেন গ্যাস কারণ একটা হাইড্রোজেন গ্যাসের দুইটা হাইড্রোজেন মলিকিউল থাকে আর হাইড্রোজেনের আকার ছোট হওয়ার কারণে এটা খুব সহজেই কোন ট্যাংকে অনেক বেশি করে জমিয়ে রাখা যায়।
পানি দিয়ে চালিত এই ইঞ্জিন ডিজাইন করার পর প্রমাণ পাওয়া যায় তাদের ইঞ্জিনিয়ারদের দক্ষতা। তারা তাদের প্রথমে সেই ব্যর্থতা ছেড়ে আবার নতুনভাবে শুরু করে পেট্রোল চালিত ইঞ্জিন, হাইড্রোজেন ইঞ্জিন, ইলেকট্রিক ইঞ্জিন এই সবকিছু নিয়েই তারা আবার গবেষণা শুরু করে। গাড়িতে অটোমেটিক্যালি পানি থেকে হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন হয়ে সেই হাইড্রোজেন থেকে শক্তি নিয়ে গাড়ি চলবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।