স্পোর্টস ডেস্ক: ২০০৭ সালে খাতা–কলমে পেশাদার ফুটবলে পা রাখে বাংলাদেশ। এর অন্যতম শর্ত হোম ভেন্যু হিসেবে ক্লাবের নিজস্ব মাঠ থাকা—যা এত দিন বাংলাদেশের কোনো ক্লাবেরই ছিল না।
‘ছিল না’ কথাটি এ কারণে বলা যে, এখন আছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে নতুন দিগন্তের যাত্রা শুরু হলো। বাংলাদেশের কোনো ফুটবল ক্লাব নিজস্ব ভেন্যুতে লিগের আয়োজন করছে। আবাহনী-মোহামেডানের মতো ঐতিহ্যবাহী ও জনপ্রিয় দল যা পারেনি তা করিয়ে দেখিয়েছে নতুন ক্লাব বসুন্ধরা কিংস।
বিকেল তিনটায় বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় স্বাগতিক বসুন্ধরা কিংস মুখোমুখি হয় পুলিশের। রেফারি আনিসুর রহমান সাগর কিক অফের বাঁশি বাজানোর সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাস শুরু হয়।
আজকের এই ম্যাচকে সামনে রেখে বসুন্ধরা কমপ্লেক্সে ছিল সাজ সাজ রব। চারদিকে তাদের ফুটবলার, কোচের ছবি দিয়ে সজ্জিত। এখনো কমপ্লেক্সটি নির্মিতব্য তবে লিগের ম্যাচ আয়োজনের জন্য যথেষ্ট। ফুটবলে প্রেসবক্স থাকে মাঠের মাঝামাঝি। সাময়িকভাবে এই লিগের জন্য পোস্টের পেছনে প্রেসবক্স করা হয়েছে। সাময়িক হলেও এই বক্সের সুযোগ সুবিধা কমলাপুর স্টেডিয়ামের চেয়ে কম নয়।
গ্যালারিতে কয়েকজন দর্শক আছেন ইতিহাসের সাক্ষী হতে। এরা অবশ্য প্রায় সবাই বসুন্ধরার সাথে সংশ্লিষ্ট। ভিআইপি বক্সে উপস্থিত ছিলেন ফুটবল ফেডারেশন ও বসুন্ধরা কিংসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
নতুন ভেন্যু হলেও পেশাদারিত্বের ছোঁয়া ছিল পরতে পরতে। কমেন্ট্রি বক্স, ড্রেসিং রুম, ডাগ আউট সবই আধুনিকতা ও পেশাদারিত্বের ছোঁয়া। এমনকি প্রেসবক্সে সরবরাহ করা বোতলেও বাণিজ্যিক কোম্পানির স্টিকারের পরিবর্তে কিংসের লোগো। আন্তর্জাতিক ম্যাচের মতো নিরাপত্তা রক্ষী ও ভলান্টিয়াররা ছিলেন সদা দায়িত্বরত।
কিক অফের জন্য মাঠে বল আনা হয়েছে ছোট গাড়িতে। প্রযুক্তির সাহায্যে সেই গাড়ি ধীরে ধীরে রেফারির কাছে যায়। রেফারি বল তুলে সেন্টারে বসান। তাতে পা ছুঁইয়েই অল্প কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করে বসুন্ধরা কিংস।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।