লাইফস্টাইল ডেস্ক: একবার ইনসুলিন শুরু করলে তা আবার বন্ধ করা যায় কি না, সে প্রশ্নের উত্তরের আগে জানা দরকার ইনসুলিন কি? ইনসুলিন একটি হরমোন, যা আমাদের অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষ থেকে তৈরি হয়। এর অন্যতম কাজ হলো রক্ত হতে খাবারের উপাদানগুলো যেমন সুগার, পেপটাইড ও লিপিড—এসবকে কোষে নিয়ে যাওয়া। এরপর কোষে মেটাবলিজমের মাধ্যমে শক্তি তৈরি হয়। সুতরাং ইনসুলিন একটি অতীব জরুরি উপাদান, যেটা ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব।
* টাইপ-১ ডায়াবেটিক রোগীদের যেহেতু বিটা কোষ হতে ইনসুলিন একদমই তৈরি হয় না, সেহেতু তাদের সারাজীবনই ইনসুলিন নিতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
* টাইপ-২ ডায়াবেটিক রোগীদের একটা অংশের বিটা কোষ মোটামুটি ৫০ শতাংশ কাজ করে কিছু ইনসুলিন তৈরি করে। লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করে এবং কিছু ওষুধের মাধ্যমে সুগার কন্ট্রোল করা যায়।
* টাইপ-২-এর রোগীদের মধ্যে দ্রুত ওজন কমে যাওয়া, খুব দুর্বল লাগা, অতিরিক্ত প্রস্রাব, অতিরিক্ত পিপাসার লক্ষণ অন্যতম। এমতাবস্থায় ওষুধ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলে বিটা সেল ফেইলিওর হয়ে যায়, যাদের পরে সারাজীবন ইনসুলিন লাগে! কিন্তু শুরুতেই যদি এদের অন্তত ছয় মাস ইনসুলিন দিয়ে চিকিৎসা করা হয়, তাহলে দুর্বল বিটা কোষ আবার সচল হয়ে ইনসুলিন তৈরি করে। এদের পরে সাধারণত লাইফ স্টাইল ও ওষুধের মাধ্যমে সুগার কন্ট্রোল করা যায়। অনেকের আর কখনোই ইনসুলিন লাগে না।
কিছু ক্ষেত্রে সাময়িকভাবে ইনসুলিন নিতে হয়—
যেমন ডায়াবেটিক রোগীর যদি মেজর সার্জারি করা লাগে, যদি কোনো মারাত্মক ইনফেকশন হয়, যদি হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হয়।
অতএব ইনসুলিন একবার শুরু করলে আর বন্ধ করা যায় না বা শুরুতে ইনসুলিন নেওয়া উচিত নয়—এসব অমূলক ধারণা মাত্র! ডায়াবেটিসের প্রত্যেক রোগীই আলাদা! বয়স, টাইপ ও অন্যান্য কো-মর্বিডিটি বিবেচনায় একেকজনের চিকিৎসা পদ্ধতি একেকরকম! আপনার চিকিৎসকই নির্ধারণ করবেন কোনটি আপনার জন্য প্রযোজ্য ও উত্তম।
পরামর্শ দিয়েছেন
ডা. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান (রাজু)
জুনিয়র কনসালট্যান্ট (মেডিসিন)
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বাঘাইছড়ি, রাঙামাটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।