লাইফস্টাইল ডেস্ক : চাকরির জন্য ইন্টারভিউতে গিয়ে আপনার কখনোই সব ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করে দেওয়া উচিত নয়। একইভাবে আরও কিছু তথ্য রয়েছে যা আপনার নিজের স্বার্থেই গোপন করা যেতে পারে। এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন কিছু তথ্য। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফোর্বস।
১. বর্তমানে আপনার হাতে চাকরির কোনো অফার নেই, এমন কোনো কথা বলতে যাবেন না। আপনার হাতে বর্তমানে কোনো সুযোগ নেই মানে আপনাকে কিছুটা হলেও অযোগ্য বলে মনে হবে।
২. আপনার আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে কিছু বলার প্রয়োজন নেই। এক্ষেত্রে আপনি খুব ধনী কিংবা খুব গরিব, যাই হন না কেন।
৩. আপনার চাকরিটি খুব খুব প্রয়োজন। কিন্তু এ বিষয়টি আপনি প্রকাশ করলেও খুব একটা সুবিধা পাবেন না। বরং চাকরির জন্য বেশি চাপাচাপি করলে তারা উল্টো সন্দেহ করতে পারে। তাই এ বিষয়ে কিছু বলার প্রয়োজন নেই।
৪. আপনার চাকরিজীবনে একটি কালো অধ্যায় আছে, এ বিষয়টি কোনোভাবেই তাদের বলবেন না। এক্ষেত্রে আপনি কোনো চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন কিংবা কোথাও সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন, এসব বিষয় জানানোর প্রয়োজন নেই।
৫. বর্তমানে আপনি যে চাকরি করছেন তা একেবারেই ভালো নয় এবং তা আপনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ত্যাগ করতে চান। এ ধরনের কথা ইন্টারভিউতে বলার প্রয়োজন নেই।
৬. আপনার অন্য একটি প্রতিষ্ঠানেও চাকরির কথা চলছে। সে চাকরিতে আপনার যদি না হয় তাহলে এখানে জয়েন করবেন। এ ধরনের কথা ভুলেও বলবেন না।
৭. আপনি সর্বনিম্ন যে বেতনে কাজ করতে চান তার কথা কোনোভাবেই বলবেন না। এক্ষেত্রে কিছুটা বাড়তি বেতন চেয়ে দেখুন আগে।
৮. আপনার দীর্ঘমেয়াদী ক্যারিয়ার পরিকল্পনা যত বড়ই হোক না কেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত বলার প্রয়োজন নেই ইন্টারভিউতে।
৯. ইন্টারভিউতে আপনি যাদের সঙ্গে কথা বলছেন, তারা আপনার তুলনায় কম যোগ্যতাসম্পন্ন হেতে পারেন। কিন্তু এ পরিস্থিতিতে তারাই আপনার বস। তাই এ বিষয়ে কিছু বলার প্রয়োজন নেই।
১০. আপনি ২৪ ঘণ্টা সপ্তাহের যে কোনো দিন কাজ করার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু সে বিষয়ে আপনি যদি বাড়তি কথা বলেন তাহলে তারা আপনার বাড়তি আগ্রহের জন্য সন্দেহ করবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।