শেষ অর্থবর্ষে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে মার্কিন চিপ প্রস্তুতকারক সংস্থা ইন্টেল। এরপরই খরচ কমাতে কর্মী ছাঁটাইয়ের চরম সিদ্ধান্ত। তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের নামী সংস্থা ইন্টেলের দাবি, সাম্প্রতিক অতীতে ক্ষতির সন্মুখীন হতে হয়েছে কোম্পানিকে, তাই শতকরা ১৫ শতাংশ কর্মীকে কাজ থেকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইন্টেলে বর্তমানে ১ লক্ষ ২৪ হাজার কর্মী রয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে সংস্থার ঘোষণা অনুযায়ী ১৫ শতাশ ছাঁটাই মানে প্রায় ১৮ হাজার কর্মীকে সরানো হবে বলে মনে করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই এহেন খবরে সকলের রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। কোন কোন কর্মীর কপাল পুড়তে চলেছে সেই আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন অনেকে।
ইন্টেল জানিয়েছে, এই বছরে তাদের ২০ বিলিয়ন ডলার খরচ কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সেই কারণেই ১৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইন্টেলের চিফ এক্সেকিউটিভ প্যাট জেলসিঙ্গার জানিয়েছেন, চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের পারফরম্যান্স একদমই আশাব্যাঞ্জক নয়। বিভিন্ন পণ্য ও প্রসেস টেকনোলজিতে মাইলফলক ছুঁলেও, গত ত্রৈমাসিকেই সংস্থার ১.৬ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।
এমনকি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পিসি প্রোডাক্টেও তেমন সাফল্য মেলেনি। ফলে ক্ষতির অঙ্ক বেড়েছে। তাই কর্মী সঙ্কোচনের বড় সিদ্ধান্ত। ২০২৩ সালে ইন্টেলের মোট কর্মী সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৮০০। এই অবস্থায় ১৮ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত সামনে আসায় কর্মীদের মধ্যে শোরগোল তৈরি হয়েছে।
ল্যাপটপ থেকে ডেটা সেন্টার সবকিছুতেই ইন্টেলের চিপ বিদ্যমান। তাইওয়ানের কম্পিউটেক্স এক্সপোতে একটি বক্তৃতার সময়, জেলসিঙ্গার সার্ভারের জন্য ইন্টেলের সর্বশেষ Xeon 6 প্রসেসর সামনে আনেন এবং এআই পিসির জন্য এর পরবর্তী প্রজন্মের লুনার লেক চিপস সম্পর্কে একাধিক বিষয় জানান। তথ্য প্রযুক্তি জগতে ইন্টেল নামী সংস্থা। পদার্থবিদ রবার্ট নয়েস এবং রসায়নবিদ গর্ডন মুরের যৌথ উদ্যোগে ১৯৬৮ সালে এই সংস্থা তৈরি হয়েছিল। সে সময় নামকরণ করা হয়েছিল ‘মুর নয়েস’। পরে নাম বদলে ইন্টেল করা হয়। তাই ইন্টেল কর্মী ছাঁটাইয়ের খবরে অনেকেই উদ্বিগ্ন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।