জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর পরীবাগে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল স্কলাসটিকার ক্যারিয়ার গাইডেন্স কাউন্সিলর ইভানা লায়লা চৌধুরীর (৩২) মৃত্যুর ঘটনায় শাহবাগ থানায় স্বামী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ মাহমুদ হাসানসহ দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়।
শনিবার সন্ধ্যায় মামলাটি দায়ের করে ইভানার বাবা আমান উল্লাহ চৌধুরী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে শাহবাগ থানার ওসি মওদুত হাওলাদার।
মামলার অপর আসামি হলেন ইমপালস হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক মুজিবুল হক মোল্লা।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় ইভানার পরিবারের পক্ষ থেকে তিনজনকে অভিযুক্ত করে শাহবাগ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, বিয়ের পর থেকেই ইভানাকে তার স্বামী রুম্মান শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। কিছুদিন আগে ইভানা জানতে পারেন, রুম্মান ব্যারিস্টার সানজানা ইয়াসিন খানের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত।
পরে ইভানা তার স্বামী রুম্মান ও সানজানার মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপে প্রেমালাপের প্রমাণও পান এবং তার স্ক্রিনশর্ট নিয়ে বন্ধুদের মেসেঞ্জারে পাঠান। এছাড়া বেশকিছুদিন ধরে রুম্মান ইভানাকে ঘুমের ওষুধ খাওয়াচ্ছিল, যাতে রুম্মান নির্বিঘ্নে সানাজানার সঙ্গে ফোনে প্রেমালাপ করতে পারে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে, ইভানাকে উদ্ধারকারী শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্বাস আলী গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ খবর পেয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে আমি ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে দুটি ভবনের মাঝে ওই নারীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। এরপর তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ইভানাকে মৃত ঘোষণা করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি অবাক হলাম, ওই নারীর পরিবারের কেউ মরদেহের সঙ্গে এল না। মনে হল তাদের কোনো অনুভূতিও নেই। আমরাই তার মরদেহ নিয়ে এলাম। বিষয়টি একটু অন্যরকম ঘটনা মনে হচ্ছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।