জুমবাংলা ডেস্ক: রাজধানীর ধানমন্ডির ইভ্যালির অফিসের নিচ তলায় থাকা একটি লকার থেকে ২৫৩০ টাকা পাওয়া গেছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি চেক বই পাওয়া যায়। এর আগে ভবনের চার তলার ইভ্যালির অন্য একটি রুমে থাকা লকার ভেঙে দুটি ব্যাংকের চেক উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) হাইকোর্ট নির্দেশিত কমিটি পাসওয়ার্ড না পেয়ে লকার কেটে এসব জিনিসপত্র পাওয়া যায়।
বিচারপতি শামসুদ্দিন হায়দার চৌধুরী মানিক বলেন, আমাদের ধারণা ছিল লকারে মূল্যবান কিছু থাকতে পারে কিন্তু আমরা লকার কাটার পরে পুরাই হতাশ।
প্রতারণাসহ নানা অভিযোগে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেল ও তাঁর স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। তাঁরা দুজন এখন কারাগারে।
হাইকোর্টের নির্দেশে গত ১৮ অক্টোবর ইভ্যালির পরিচালনার দায়িত্ব নেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ। ওই পর্ষদ গত তিন মাসে নয়টি বোর্ড সভার পাশাপাশি ইভ্যালির অর্থ ও সম্পদ উদ্ধারে নানামুখী কার্যক্রম নিয়েছে। পর্ষদ এ পর্যন্ত সিটি ও সাউথইস্ট ব্যাংকে থাকা ইভ্যালির দুটি অ্যাকাউন্ট এবং ২৪টি গাড়ি ও ৯টি গুদামের সন্ধান পেয়েছে।
নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদ জানিয়েছে, পর্ষদের পাঁচ সদস্য বেশ কয়েকবার কারাগারে গিয়ে ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা রাসেলের কাছে লকারগুলোর কম্বিনেশন জানতে চান। তবে তাঁরা সে কম্বিনেশন জানতে ব্যর্থ হন। এরপর পর্ষদ লকার ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন। আজ লকার ভাঙার সময় ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফসিয়া সিরাত উপস্থিত ছিলেন।
বেলা তিনটার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির ১৪ নম্বর সড়কের বাড়ির তিনতলায় ইভ্যালির কার্যালয়ে প্রবেশ করেন পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা। প্রথম লকারটি ভাঙা শুরু হয় সোয়া তিনটার দিকে। লকারটি কাটতে গিয়ে একে একে নষ্ট হয় পাঁচটি ব্লেড। ছয় নম্বর ব্লেডে কাজ হয়। লকার থেকে বের করা হয় মিডল্যান্ড ব্যাংকের ৯৭টি ও সিটি ব্যাংকের ১০টি চেকবই। এ ছাড়া ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ কিছু পারিবারিক কাগজ পাওয়া যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।