স্পোর্টস ডেস্ক : মাশরাফির ঢাকা প্লাটুনকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের শীর্ষস্থান আরো মজবুত করেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এদিনও জয়ের নায়ক ইমরুল কায়েস।
ঢাকার দেয়া ১২৫ রানের মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অর্ধশতক হাঁকান ইমরুল। তবে ইনিংসটা তার এত বড় নাও হতে পারতো। বলতে গেলে ঢাকার অধিনায়ক মাশরাফির ‘দয়ায়’ তিনি দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান।
ব্যক্তিগত ২ রানেই ইমরুল সাজঘরে ফিরতে পারতেন। মেহেদী হাসানের বলে রক্ষণাত্মক শট খেলে ক্রিজের সীমানার বাইরেই ছিলেন। মুমিনুল হক চটজলদি বল কুড়িয়ে আঘাত করে স্ট্যাম্পে। আইন অনুযায়ী ইমরুল আউটই হয়ে যান। এমনকি আম্পায়ারও আউট বলেই জানিয়ে দেন। কিন্তু এমন ‘সস্তা উইকেট’ নিতে চাননি মাশরাফী। আর তাই সাজঘরেও ফিরতে হয়নি ইমরুলের। মাশরাফী এই আউট গ্রহণ না করে তাকে ক্রিজেই থেকে যেতে বলেন। প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়কের কথায় আম্পায়ারও তার আউটের সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেন। কিন্তু সেই ইমরুরের ব্যাটই বিপদ ডেকে আনে ঢাকার। ওই সময় সে ফিরে গেলে ঢাকার জন্য লড়াই করাটা নিশ্চিতভাবেই সহজ হতো।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকার অধিনায়ক মাশরাফীকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সত্যি বলতে, ফিল্ডিং দল চাইলে এটাকে আউট দিতে পারে। ইমরুল শুড লার্ন দ্যা ম্যানার্স (ইমরুলের ম্যানার শেখা উচিত)। ইমরুল আমাকে ধন্যবাদও বলেনি (হাসি)।
কথাগুলো মজার ছলেই বলছিলেন মাশরাফী। জাতীয় দলের সতীর্থের সঙ্গে মাঠ এবং মাঠের বাইরে দারুণ সম্পর্ক ম্যাশের। আর তাই তাকে খোঁচা মারতে দ্বিধা করেননি টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক।
এরপরই অবশ্যই সিরিয়াস হয়ে মাশরাফী বলেন, ক্রিকেটীয় পদ্ধতিতে এগোলে তৃতীয় আম্পায়ার হয়ত আউটই দিতেন। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে- আমি খেলছি, তামিম খেলছে, আমরা যারা সিনিয়র খেলোয়াড়রা আছি তারা এই সুবিধা নেওয়া ভালো দেখায় না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।