
গতকাল (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ‘সম্মিলিত ইমাম-খতিব জাতীয় সম্মেলনে’ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আমাদের ইমাম ও খতিবরা কারও করুণার পাত্র হবেন—এটি আমরা চাই না। তাদের আসল মর্যাদা তাদের হাতে তুলে দিতে হবে। ইমাম-খতিবরা সমাজে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে।”
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র ইমাম মাওলানা মুহিব্বুল্লাহিল বাকি আন নদভীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর চরমোনাই, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক এবং জমিয়তে উলামায়ের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী।
সঞ্চালনা করেন মুফতি আজহারুল ইসলাম ও মুফতি শরিফুল্লাহ। সম্মেলনে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অধিকার সংরক্ষণ, ইমাম-খতিবদের সামাজিক নিরাপত্তা ও সম্মানজনক বেতন প্রদানের পাশাপাশি মসজিদ পরিচালনার আধুনিক নীতিমালা প্রণয়নের একটি রোডম্যাপ উপস্থাপন করা হয়।
জামায়াত আমির বলেন, রসুলে করিম (সা.) মহান রব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে দায়িত্ব পেয়েই মসজিদ গড়েছিলেন এবং মসজিদকে আল্লাহ তায়ালার পছন্দ অনুযায়ী মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তখন আলাদা কোনো ক্যাবিনেট হাউস ছিল না এবং আলাদা কোনো রাষ্ট্রপতি অথবা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ছিল না। সমস্ত আঞ্জাম দেওয়া হতো মসজিদে নববী থেকে। বিভিন্ন ধর্মের, মতের মানুষ, সারা বিশ্ব থেকে প্রতিনিধি নিয়ে তাঁর কাছে এসেছেন। তিনি তাঁদের সবার সঙ্গে মিলিত হয়েছেন মসজিদে নববীতে। নবীজির এই সমাজকে বাদ দিয়ে মনগড়া কোনো মতবাদ তন্ত্রমন্ত্র দিয়ে যে সমাজ গড়া হবে, সেই সমাজ- আল্লাহর কসম! দুনিয়াকে শান্তি এবং সম্মান দুটোর কোনোটাই দিতে পারবে না।
সম্মেলনে উত্থাপিত খতিব-ইমামরা সাত দফা দাবি পেশ করেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে সব ধর্মের অধিকার সংরক্ষণ করে ইসলামি শরিয়াহকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। রাষ্ট্রের জনকল্যাণমূলক কর্মকান্ডে ইমাম-খতিবদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও থানা পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটি, গ্রাম আদালত, দুর্যোগ প্রতিরোধ কমিটি এবং ইউনিয়নভিত্তিক সেবা কার্যক্রমে ইমাম-খতিবদের সম্পৃক্ত করতে হবে। সব মাদরাসার বিদ্যুৎ বিল মসজিদের ন্যায় ডিট্যারিফের আওতায় আনতে হবে এবং সব মসজিদ ও মাদরাসার পানি বিল ৫০ শতাংশ মওকুফ করতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



