জুমবাংলা ডেস্ক : মতলবে ইমামের ছেলেসহ ৩ শিশুর মৃ’ত্যুর ঘটনা সম্পর্কে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার হিজাহদুল কবির বলেছেন, যে কক্ষে ইমাম ও তার শিশুপত্র থাকতেন সেই কক্ষটি আকারে খুবই ছোট। একই কক্ষের মসজিদের আইপিএস এর ব্যাটারি এসিড পানি থাকত।
ফলে ওই কক্ষটি ক্যামিকেলের তীব্র গন্ধময় হয়ে উঠে। ধারণা করা হচ্ছে ৩ শিশু ওই কক্ষে দরজা বন্ধ অবস্থায় অক্সিজেনের অভাবে মা’রা যেতে পারে।
বিষয়টি আরো গভীরে তদন্ত করার জন্য শুক্রবার রাতেই ঢাকা থেকে ক্যামিকেল এক্সপার্ট ও পরেন্সিক এক্সপার্ট একটি টীম ঘটনাস্থলে আসেন এবং তারা প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যান। এদিকে মৃ’ত ৩ শিশুর ময়না তদন্তের কার্যক্রম চলছে এবং এই কার্যক্রম তদারকি করার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফ্রিং-এ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এই ৩ শিশুর মৃ’ত্যুর ঘটনা তদন্তের জন্য স্থানীয়ভাবে পুলিশ সুপার নিজে থেকে তার সাথে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) ও মতলব দক্ষিণ থানার ওসি দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, ইমামের কক্ষে এসিডের পানির বোতল থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে। ওই বোতলের পানি হিসেবে শিশুরা পান করে নিহতের ঘটনা ঘটতে পারে।
এছাড়া পুলিশ সুপার একই প্রেস ব্রিফিং-এ চাঁদপুর শহরটি সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে বলে নমুনা প্রদর্শণ করেন।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ৬০টি ক্যামেরা শহরের ২৬ পয়েন্টের প্রধান সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপন করা হয়েছে। এখন থেকে শহরের অপরাধমূলক প্রবণতা কমে আসবে এবং নিয়ন্ত্রণ করা অনেকটা সম্ভব হবে।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, চাঁদপুর মডেল থানার ওসি মো. নাসিম উদ্দিন, ডিবি পুলিশের ওসি মামুন, চাঁদপুরের জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।