প্রতিবেশী রাষ্ট্র আজারবাইজানের দিকে আর্মেনীয় সেনাদের ছোড়া ১০টির অধিক মর্টার এরই মধ্যে আঘাত হেনেছে আরেক পড়শি দেশ ইরানে। দেশটির সীমান্তবর্তী ‘খোদা অফারিন’ জেলায় এসব মর্টার এসে পড়েছে বলে সেখানকার গভর্নর আলী আমিরি রাদ নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ১০টির বেশি মর্টার ইরান ভূখণ্ডে আঘাত হেনেছে। এগুলো অনাবাসিক ও কৃষিক্ষেত্রে এসে পড়েছে। সৌভাগ্যের বিষয় এতে কেউ হতাহত হয়নি।
ইরান স্পষ্টভাবে এই বিষয়ে আর্মেনিয়াকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। একই সঙ্গে দুই দেশকেই ইরানের সীমান্ত লঙ্ঘনের বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছে তেহরান।
কারাবাখ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে নতুন করে সীমান্ত সংঘাত শুরু হওয়ার পরপরই ওই দুই দেশের নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ। তারা আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় দু’দেশকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন : তুরস্ককে ছাড়া শান্তি প্রক্রিয়া না যাওয়ার ঘোষণা আজারবাইজানের
১৯৮০’র দশকের শেষ দিকে কারাবাখ অঞ্চলে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মুহূর্তে সংঘর্ষ চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। ১৯৯৪ সালে দু’পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত এ সংঘর্ষে ৩০ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়।
আন্তর্জাতিকভাবে কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত হলেও আর্মেনিয়ার সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করছে সেখানকার আর্মেনীয় বংশোদ্ভূতরা।
সূত্র : পার্সটুডে
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।