আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাক্কা লেগেছে ইরানে। টানা দুই দিন তিন হাজারের বেশি রোগী পাওয়া গেছে দেশটিতে। ইরানে রমজান মাসেই মসজিদ ও দোকানপাট খুলে দেয়া হয়। খবর বিবিসি ও ব্লুমবার্গের।
গত ৩০ মার্চ প্রথম দফায় আক্রান্তের শীর্ষচূড়া দেখেছে দেশটি। তারপর থেকেই কমে আসছিল সংক্রমণ। তবে তখন থেকে লকডাউন শিথিল, মাস্ক পরা ও শারীরিক দূরত্ব বজায়ে কিছুটা অবহেলার কারণেই নতুন সংক্রমণের ঢেউ লেগেছে। এ পরিস্থিতিতে লোকজনকে চলাচলে আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
চীনের উহান থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর প্রথম দিকের সংক্রমিত দেশের অন্যতম ইরান। ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান মতে, এ পর্যন্ত দেশটিতে ১ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ২৫ হাজার ২০৬ জন। আর মারা গেছেন ৮ হাজার ১২ জন। এখনও করোনা রোগী রয়েছেন সাড়ে ২৭ হাজার।
ইরানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর সংক্রমণ বাড়তে বাড়তে গত ৩০ মার্চ সর্বোচ্চ পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছায়। সেদিন ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছিল ৩ হাজার ১৮৬ জন। এরপর থেকে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা কমতে থাকে। সর্বশেষ ২ মে ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয় ৮০২ জনের। তখন পর্যন্ত সারাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭০ হাজার।
সংক্রমণ কমে আসায় কর্তৃপক্ষ এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে লকডাউন শিথিলের ঘোষণা দিয়েছিল। তাতে ২ মের পর থেকেই আবার সংক্রমণ বাড়তে থাকে। জুনের শুরুতে এসে সেই সংক্রমণের মাত্রা আবার ৩০ মার্চের কাছাকাছি চলে এসেছে।
ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, আগের দিন বুধবার ২৪ ঘণ্টায় ইরানে নতুন করে ৩ হাজার ১৩৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এটি আগের সপ্তাহের একই দিনের চেয়ে ৫০ ভাগ বৃদ্ধি।
এ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কিয়ানুশ জাহানপুর বলেন, শারীরিক দূরত্ব বজায় নিয়ে আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে। উপযুক্ত মাস্ক মুখে পরার ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে। তিনি আরও বলেন, দ্বিতীয় দফায় কিছু এলাকায় সংক্রমণ বেড়েছে। দেশের ৩১টি প্রদেশের মধ্যে ৯টিকে ‘রেড জোন’ শনাক্ত করে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।