স্পোর্টস ডেস্ক : ইউরো সেরা হয়ে ইতালি শুধু প্রত্যাশাই বাড়িয়েছে সমর্থকদের। যার বিন্দু পরিমাণ পূরণে ব্যর্থ আজ্জুরিরা টপকাতে পারেনি বাছাইপর্বের বাধাই। টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের টিকিট বঞ্চিত হওয়া ইতালি সুযোগ পেতে পারে কাতার বিশ্বকাপে! উদ্ভট শোনালেও এমনই খবর ফুটবল ইতালিয়ার। মানচিনির দলের বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনার নেপথ্যে ইরানের স্টেডিয়ামের নিয়ম।
মূলত ইরানের নারী দর্শকদের স্টেডিয়ামে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। দেশটির এমন সিদ্ধান্তে শক্ত অবস্থান নিয়েছে ফিফা। আসন্ন বিশ্বকাপ থেকে ইরানকে বাদ দেয়ারও নাকি পরিকল্পনা চলছে। এমন হলে কপাল খুলে যাবে প্লে-অফে বাদ পড়ে যাওয়া ইতালির।
ইরানে নারীদের স্টেডিয়ামে প্রবেশ করা অনেক আগে থেকেই নিষিদ্ধ ছিল। পরে ২০১৯ সালে ফেডারেশন অব ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্তে ফের নারীদের স্টেডিয়ামে প্রবেশের অনুমতি দেয় ইরান ফুটবল ফেডারেশন।
তবে কাতার বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়ার পর আবারও নারীদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে স্টেডিয়ামে। ২ দল নিয়ে গড়াবে বিশ্বকাপ ফুটবল। নারীদের নিয়ে সিদ্ধান্তের জেরে ইরান বাদ পড়লে নতুন করে নেয়া লাগবে অন্য একটি দলকে। ইতালিয়ান গণমাধ্যম রাই নিউজের খবর, নতুন করে দল নেয়ায় ফিফার সম্ভাব্য তালিকায় সবার ওপরে ইতালি। র্যাঙ্কিং এবং ইউরোর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় ইতালিই একমাত্র যোগ্য দাবিদার।
ফুটবল ইতালিয়া লিখেছে, এমনটা যদি হয় (ইরানকে বাদ দেয়া), ফিফা বাছাইপর্ব থেকে বাদ পড়া এমন একটি দলকে স্থলাভিষিক্ত করবে যারা ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ওপরে রয়েছে। ইতালি বাদে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের সেরা দশের সব দলই বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছে। র্যাঙ্কিংয়ে ষষ্ঠ স্থানে থাকায় ইরানের বদলি হিসেবে সুযোগ পেতে পারে ইতালি।
ফুটবল ইতালিয়ার পাঠকরা অবশ্য এই প্রতিবেদনে ভরসা রাখছেন না। তারা মনে করেন না ফিফা ইরানকে নিষিদ্ধ করবে। দেল পিয়েরো নামের এক ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন, ‘এমন বাজে প্রতিবেদন আর নয়! আগেও এমন বলা হয়েছে। এটা (ইরানকে নিষিদ্ধ করা) বাস্তবে রূপ নেবে না। ইতালি এবছর বিশ্বকাপ খেলছে না। পরবর্তী ইউরোর প্রতি মনোযোগী হও তোমরা।’ উইন নামের এক ব্যক্তির মন্তব্য, ‘বিশ্বকাপে এশিয়ার চেয়ে ইউরোপিয়ান দলগুলো বেশি যোগ্যতা রাখে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।