আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরাকের বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের অভিজাত কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলাইমানি নিহত হন।
সোলাইমানি হত্যার পর ইরানের পাশে দাঁড়াচ্ছে বিভিন্ন দেশ। এবার তাদের পাশে দাঁড়াল এশিয়ার পরাশক্তি চীন।
দ্য জেরুজালেম পোস্ট জানায়, শনিবার (৪ জানুয়ারি) ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাওয়াদ জারিফকে ফোন করেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে ওয়াং ই বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত সেনাবাহিনীর অপব্যবহার বন্ধ করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা। না হলে নতুন করে আরও সমস্যা তৈরি হবে।
সোলাইমানি হত্যার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ আচরণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মূল ভিত্তি লঙ্ঘন করছে যুক্তরাষ্ট্র। এর সমস্যা ও উদ্বেগ আরও বাড়ছে। মধ্যপ্রাচ্য ও পারস্য উপসাগরে শান্তি ও সুরক্ষা নিশ্চিতে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে চীন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাতে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন হামলায় নিহত হন ইরানি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর এলিট কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেমানি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে সোলেমানিকে হত্যা করা হয় বলে নিশ্চিত করে পেন্টাগন।
ওই ঘটনায় ইরানের সর্ব্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আমির হাতামি, ইরানি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সাবেক কমান্ডার মোহসেন রেজায়িসহ ইরানের উর্ধ্বতন পর্যায়ের বিভিন্ন নেতা সোলেমানি হত্যার ঘটনায় আমেরিকাকে চড়া মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন।
সোলেমানি হত্যায় ক্ষুব্ধ ইরানের জেনারেল গোলাম আলি আবু হামজাহ হরমুজ প্রণালীতে গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন স্থাপনায় হামলার হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন। তার বাহিনী ডেস্ট্রয়ার ও যুদ্ধজাহাজসহ পারস্য উপসাগর ও ইজরায়েলের নিকটবর্তী প্রায় ৩৫টি মার্কিন স্থাপনার দিকে তাক করে আছে বলে জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।