ইলেক্ট্রনিক্স ব্র্যান্ড: অল্প পুঁজিতে নিশ্চিত ভবিষ্যৎ

জুমবাংলা ডেস্ক: দেশের তরুণদের মধ্যে এখন সরকারি চাকরি বা বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি ছাড়াও নিজ উদ্যোগে ব্যবসা করার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে লকডাউনে সৃষ্ট মার্কেটে ঘাটতির কারণে তরুণদের মধ্যে চ্যালেঞ্জিং উদ্যোক্তা হবার প্রবণতা দেখা দিয়েছে।। তাই তরুণরা এখন অনেকেই গ্রাজুয়েশন শেষ করে স্বল্প পুঁজিতে অধিক মুনাফার ব্যবসার দিকে ঝুঁকছে। আর এসব ব্যবসার ক্ষেত্রে তরুণদের আগ্রহ বেশিরভাগই ইলেকট্রনিক্স এবং অটোমোবাইলস ব্যবসার ক্ষেত্রে কারণ প্রযুক্তির উৎকৃষ্ট সংশ্লিষ্ট ব্যাপারে তরুণ প্রজন্ম বরাবরই আগ্রহী।

একটা সময় ছিলো যখন ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েরই বিদেশী ব্রান্ড নিয়ে ভুল ধারণা ছিলো। ক্রেতাদের ধারণা ছিলো বিদেশী পণ্যের গুণগত মান দেশী পণ্যের চেয়ে ভালো এবং বিক্রেতাদের ধারণা ছিলো বিদেশী পণ্যে কমিশন ও মুনাফা দেশী পণ্যের চেয়ে বেশি। কিন্তু বর্তমানে টিভি, ফ্রিজ, এসি ইত্যাদি পণ্যের ক্ষেত্রে দাম ও গুণগত মান বিবেচনা করে ক্রেতারা দেশী পণ্যের প্রতি আস্থাশীল হয়ে উঠছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক জরিপে এই ধরণের বিপণন ব্যবসায় বাজারে সেল, কমিশন ও মুনাফার ভিত্তিতে বিবেচনা করলে অল্প পুঁজি, নিশ্চিত ভবিষ্যৎ, দ্রুত প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক মূল্যায়ন সুনিশ্চিত করতে দেশী ইলেক্ট্রনিক্স ব্রান্ডের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে।

বিদ্যমান এই ট্রেডে বিভিন্নভাবে বর্তমান ব্যবসায়ী, পাইকারি বিক্রেতা, এক্সক্লুসিভ ডিলার এবং অন্যান্য তরুণ উদ্যোক্তাদের বিশদ আলোচনায় উঠে আসে শীর্ষস্থানীয় একটি ব্র্যান্ডের প্রতি বিক্রেতারা আস্থা হারিয়েছেন। তাদের পণ্য অতিমাত্রায় সহজলভ্য হবার কারণে খুচরা বিক্রেতারা লভ্যাংশ পাচ্ছে না। মাসিক বিক্রয় পারফর্মেন্সে তাদের যে অপারেশনাল প্রফিট আসছে তাতে খরচ পর্যন্ত উঠে আসছে না। বিগত চার পাঁচ বছরের ধারাবাহিকতায় ইলেকট্রনিক্স সেক্টরে অর্থের বিশাল তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে তাই ব্যবসায়ীরা সন্দিহান অবস্থায় আছে এবং ব্যবসার মূলনীতি বিচ্যুত হবার কারণে ব্যবসার প্রতি আগ্রহ নষ্ট হয়ে গিয়েছে।

আরও একটি ব্র্যান্ড থেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, তাদের ব্যবসার পলিসি এবং প্রোডাকশনের ধারাবাহিকতা না থাকার কারণে তারা মার্কেট থেকে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছেন। ডিলার চ্যানেলের ব্যবসায়ীরা কোনরকম ভর্তুকি দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু প্রোডাক্ট সরবারহ করতে পারছেন না।

মার্কেটে বিশালভাবে হোম অ্যাপ্লায়েন্সের চাহিদা মিটানো একটি কোম্পানি তুলনামূলক লাভ করলেও কিন্তু বড় পণ্য সামগ্রীর থেকে যেখানে বেশি লভ্যাংশ আদায় হয় সেই সেক্টরে মার্কেটে ক্রেডিটে পণ্য দেওয়ায় অপারগতা থাকার কারণে তারা মার্কেটে ব্যবসা প্রসার করতে পারছে না।

ভোগ্যপণ্যে বাজারে বিশেষ প্রভাব ফেলা একটি ব্র্যান্ড তাদের পণ্যের গুণগত মান এবং আফটার সেলস সার্ভিস নিশ্চির করতে না পারার কারণে মার্কেট থেকে পিছিয়ে পড়েছে।

বাজারে বিদ্যমান একটি ব্র্যান্ড যা দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত তাদের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বযতিক্রমধর্মী বক্তব্য শোনা গিয়েছে। বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এই ব্র্যান্ডের ধারাবাহিক সাফল্য, মার্কেটে প্রসার, আফটার সেলস সার্ভিস এবং পণ্যের গুণগত মান এমনভাবে নিশ্চিত করে ফেলেছেন যে তারা তিন থেকে পাঁচ গুন মুনাফা অর্জন করে স্বস্তির সাথে এই ব্যবসা করে যাচ্ছেন। তাই মার্কেটে যারা বর্তমানে ব্যবসায় আছেন তারা তরুণদের এই ব্র্যান্ডের সাথে নির্দ্বিধায় ব্যবসা করে নিজের ক্যারিয়ার সুনিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছেন।

একবিংশ শতাব্দীর প্রযুক্তিগত বিপ্লবের এই যুগে প্রতিটি পরিবারে ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য শুধু প্রয়োজনই নয় বরং জীবনযাত্রার মানকেও করছে আধুনিক। তাই আধুনিকতার কথা চিন্তা করেও সকলের মাঝে ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য ব্যবহারের ঝোঁক বৃদ্ধির সাথে সাথে ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসায়ের ক্ষেত্রও দিন দিন বেড়েই চলেছে। যারা ভাবছেন কোন ব্যবসায়ে আপনার জন্য উপযুক্ত? আধুনিকতার এই যুগে দ্রুত মুনাফা এবং ব্যবসা প্রসারের জন্য গ্রাহক এবং ব্যবসায়ী উভয়ের কথা চিন্তা করলে অল্প পুঁজিতে বেশি মুনাফা পাওয়াবে এবং দ্রুত ব্যবসা প্রবৃদ্ধি হয়ে নিশ্চিত ভবিষ্যৎ ও সামাজিক মূল্যায়ন নিশ্চিত করবে এমন ইলেক্ট্রনিক্স ব্র্যান্ড হতে পারে আপনার কাছে অনন্য এক আস্থার নাম।