আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকে রাজি হয়েছে সুদান। আরব লিগের সর্বশেষ দেশ হিসেবে ইহুদিবাদী রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে একমত হলো খার্তুম।
একইসঙ্গে সুদানকে যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাবাদে সহায়তাকারীর তালিকা থেকে মুক্তি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর্থিক সহায়তা এবং দেশটিতে বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
ঘোষণা অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আরো অন্তত ৫টি আরব দেশ ইসরাইলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করতে চায়। তবে সে দেশগুলোর নাম তিনি উল্লেখ করেননি।
সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের চুক্তি করে। তাদের এ পদক্ষেপের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আবুধাবি এবং মানামার পদাঙ্ক অনুসরণ করলো খার্তুম।
২৬ বছরের মধ্যে প্রথম উপসাগরীয় দেশ হিসেবে আমিরাত এবং বাহরাইন ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে। আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুদানের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধি জোরদারে খার্তুমের সিদ্ধান্তকে গুরুত্বপূর্ণ আখ্যা দিয়েছে দেশটি।
ত্রিপক্ষীয় বিবৃতিতে, সুদান, ইসরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তেল আবিব এবং খার্তুমের প্রতিনিধিরা আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন।
বলা হয়, ইসরাইল এবং সুদান নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকে একমত হয়েছে। দুই জাতির মধ্যে যে বিগ্রহ তা নিরসনেও একাত্মতা প্রকাশ করে উভয় পক্ষ।
গেলো মাসের আগ পর্যন্ত মাত্র দুটি আরব রাষ্ট্র মিশর এবং জর্ডান ইসরাইলকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। ইসরাইলের সঙ্গে তাদের সীমান্ত রয়েছে। ১৯৭৯ সালে মিশর ১৯৯৪ সালে জর্ডান যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরাইলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করে।
আফ্রিকান আরব লিগের সদস্য মরিতানিয়া ১৯৯৯ সালে ইস্রায়েলকে স্বীকৃতি দেয়। তবে ১০ বছর পরে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়।
ইসরাইলের সঙ্গে আরব দেশগুলোর ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক উন্নয়নের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। তাদের দাবি, আরবদের এমন আচরণ ফিলিস্তিনের সংগ্রামের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।
ঐতিহাসিকভাবে ইসরাইলের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় আরব দেশগুলোর শর্ত হলো-১৯৬৭ সালের আরব যুদ্ধে বেদখল হয়ে যাওয়া ভূমি ফেরত এবং পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস নতুন চুক্তি প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনিদের হয়ে কথা বলার অধিকার কারো নেই। অবরুদ্ধ গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস চুক্তিকে রাজনৈতিক অনাচার বলে কটাক্ষ করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।