গোপাল হালদার, পটুয়াখালী: ঈদের ছুটিতে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভিড় জমিয়েছে হাজারো পর্যটক। সৈকতে আগত এসব পর্যটকরা সমুদ্রে সাতার কাটাসহ প্রিয়জনের সঙ্গে ছবি তুলে দিনটি উপভোগ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
সমুদ্র সৈকতে আগত পর্যটকরা বেশির ভাগই স্থানীয় বলে জানিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
পর্যটক, কুয়াকাটা পর্যটন পুলিশ ও হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের দিন বরগুনা, আমতলী, পটুয়াখালী ও কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তের লোকজনই সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে এসেছিলেন। আজ রবিবার থেকে দূরদূরান্তের পর্যটকেরা আসতে শুরু করবেন। ইতোমধ্যে কুয়াকাটার বেশিরভাগ হোটেল-মোটেলের কক্ষ বুক হয়ে গেছে।
সৈকত ঘুরে দেখা গেছে, কুয়াকাটার জিরো পয়েন্টের পশ্চিম প্রান্তের লেম্বুরচর এবং পূর্ব প্রান্তের গঙ্গামতি সৈকত পর্যন্ত পর্যটকদের পদচারণায় এখন মুখরিত। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকেই কুয়াকাটায় পর্যটকদের ব্যাপক চাপ রয়েছে।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক হাসান পারভেজ বলেন, এর আগে অনেক কষ্ট করে কুয়াকাটায় আসতে হতো। এখন মাত্র ৬ ঘণ্টায় কুয়াকাটা আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে।
কথা হলো বরগুনা থেকে আসা পর্যটক শাকিল হাসেনের সাথে। তিনি জানান, ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে বাড়িতে এসেছেন তিনি। দুপুরের খাবার শেষে বন্ধুদের নিয়ে কুয়াকাটায় এসেছেন। তবে সৈকতে ঘুরে সন্ধ্যার পড়ে মাছ ফ্রাই খেয়ে বাড়ি ফিরে যাবেন তারা।
ফ্রাই দোকানী আব্দুর রহিম জানান, রমজানে একমাস সবকিছু জনশূন্য থাকলেও এবার ঈদের লম্বা ছুটিতে লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম ঘটেছে কুয়াকাটায়। প্রথম দিন অনেকেই আসেননি। যারা এসেছেন তাদের অনেকেই বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা। আজ থেকে আগতদের ভিড় বাড়বে। তাই আগেভাগেই সব কিছু প্রস্তুত করে রেখেছেন।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কে এম বাচ্চু বলেন, ঈদের দিন দুপুরের পর থেকেই কুয়াকাটায় দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেছেন। তাঁদের অনেকেই সাগরের পানিতে গোসল করেছে। আবার কেউ কেউ ট্রলার, রেসিং বোটে চরে ঘুরে বেড়িয়েছেন।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে আমরা তৎপর রয়েছি। সৈকত, হোটেল-মোটেল এলাকা এবং পর্যটন স্পটগুলোকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে পর্যটন পুলিশের ছয়টি দল কাজ করছে। সাদা পোশাকেও পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। ফায়ার সার্ভিসের একটি দলকেও সার্বক্ষণিক থাকতে বলা হয়েছে। মোটকথা নিরাপত্তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আবাসিক হোটেল-মোটেল, খাবার হোটেলে আমরা মূল্যতালিকা টানিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছি। পর্যটকদের ঘুরে বেড়ানোর জন্য সৈকতকে পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। এ ছাড়া পর্যটনকেন্দ্রিক প্রতিটি সেবা খাতকেও আমরা নিয়মনীতি মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছি। কেউই পর্যটকদের হয়রানি করতে পারবেন না। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়োজিত করা হয়েছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।