বর্তমানে ঢাকার জনসংখ্যা ২ কোটির বেশি। এটি পূর্বের থেকে অনেক বেশি ঘনবসতিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। গাড়ির কালো ধোঁয়া ঢাকার পরিবেশকে অসহনীয় করে তুলেছে। বিপুল সংখ্যক মানুষের কারণে এ ধরণের অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য ইলেকট্রিক গাড়ি সমাধান হতে পারে। উন্নত বিশ্ব এখন এ পথেই হাঁটছে।

কারণ এটি অনেক বেশি পরিচ্ছন্ন এবং কার্যকর বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে বাংলাদেশ উল্টো পথে হাঁটছে। এখানে ইলেকট্রিক গাড়ি নিয়ে আসার কোন পরিকল্পনা নেই। বাংলাদেশে ইলেকট্রিক গাড়ির বিপ্লব দরকার হলেও নিবন্ধন ফি অনেক বেশি থাকায় সেটা সম্ভব হচ্ছে না। পাশাপাশি গাড়ির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক অনেক বেশি। এজন্য এখনো রাস্তায় পেট্রোচালিত গাড়িই দেখা যাচ্ছে।
সাধারণ মানুষ বলছেন, ইলেকট্রিক বাস রাস্তায় নামলে কালো ধোয়ার পরিমাণ কমবে, ভাঙাচোরা বাসের দৌরাত্ম্য কমবে। মানুষ সুস্থভাবে বাসে চলাফেরা করতে পারবে। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ঢাকার রাস্তায় ৮০টি ও চট্টগ্রামের রাস্তায় ২০টি বৈদ্যুতিক বাস চালুর কথা ছিল। ২০১৯ সালে সেই প্রক্রিয়া শুরু হলেও এখন পর্যন্ত দেশের কোথাও বৈদ্যুতিক বাসের দেখা নেই। অন্যদিকে, সারাদেশে ইলেক্ট্রিক ভেহিকল বা ইভি চার্জিং স্টেশন মাত্র ১৪টি। আর পাবলিক চার্জিং স্টেশন নেই বললেই চলে।
অর্থাৎ বলাই যায় এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর একটি হলো চার্জিং সুবিধাসম্পন্ন অবকাঠামোর অভাব।
এ অবস্থায় উন্নতি আনতে সমর্থনমূলক অবকাঠামো, নীতিমালায় পরিবর্তন ও ইলেকট্রিক বাস নির্ভর গণপরিবহন ব্যবস্থা চালু করার পরামর্শ দিয়েছেন পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এম শামসুল হক। তিনি বলেন, বৈদ্যুতিক গাড়িকে স্বাগত জানাতে হবে। বাস ও কমার্শিয়াল গাড়িগুলোকে বৈদ্যুতিক গাড়িতে রূপান্তরিত হবে।
এদিকে দেশে ইলেকট্রিক বাস-নির্ভর গণপরিবহন ব্যবস্থা চালুর পথকে সুগম করার দিকে অন্তর্বর্তী সরকার এগোচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক দেশই বৈদ্যুতিক গাড়ির দিকে ঝুঁকছে। বাংলাদেশেও এ ধরনের গাড়ি চলাচলে নীতি প্রণয়ন করা হবে। উল্লেখ্য, ২০২৩ এর জানুয়ারি থেকে বিক্রি শুরু হয়ে ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ নিবন্ধিত ইভির সংখ্যা মাত্র ৩০০টি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।