বর্তমানে দেশে কোন রাজনৈতিক সরকার না থাকার কারণে বিদেশি বিনিয়োগ আশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ অনির্দিষ্ট হয় এবং দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক পরিবেশ স্থিতিশীল না থাকায় বিদেশীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।
সবাই নির্বাচন এবং একটি রাজনৈতিক সরকারের অপেক্ষায় আছে। অনুসন্ধান করে দেখা যায় যে, বর্তমান অর্থ বছরের প্রথম তিন মাসে এতটা বিনিয়োগ কমেছে যে যা ১১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। অর্থাৎ শেখ হাসিনার আমলেও এত বাজে অবস্থা তৈরি হয়নি।
বিদেশি উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ সংক্রান্ত কোনো কাজ করতে নারাজ। বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিয়ে ব্যবসায়ীদের অনেক অভিযোগ রয়েছে। যেমন এনবিআর ও ব্যাংক ভুল নীতি গ্রহণ করেছে। তাদের উচ্চ সুদহার নীতি ব্যবসায়ীদের পছন্দ নয়।
দেশে পটপরিবর্তনের পর থেকে খরা কাটছে না বিদেশি বিনিয়োগের। এ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ১০ কোটি ৪৩ লাখ ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য বলছে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে প্রায় ৭১ শতাংশ। যার প্রভাবে বেপজার শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্পেও বিনিয়োগ কমেছে ২৩ শতাংশ।
বিদেশি বিনিয়োগ শুধু নয়, হাত গুটিয়ে রেখেছে দেশি উদ্যোক্তারাও। অর্থনীতি বিশ্লেষকরাও বলছেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তন এবং ডলার সংকটসহ নানা কারণে নতুন বিনিয়োগে সাহস করছে না বিদেশিরা।
তাছাড়া গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকট তো আছেই। অর্থনীতিবিদরা মনে করে যে, রাজনৈতিক সরকার না থাকায় বিদেশীরা বিনিয়োগে আগ্রহী নয় । তারা আরো মনে করে যে, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত শক্তিশালী ভূমিকা গ্রহণ করা ও বিনিয়োগে আস্থা অর্জন করা ও সব ধরনের চেষ্টাও অব্যাহত রাখা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।