আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতকে এখন গোটাবিশ্ব ধর্ষণের রাজধানী হিসেবেই চেনে। ভারত নিজের মেয়ে ও বোনদের নিরাপত্তা দিতে পারে না।
গত শনিবার কেরালার ওয়ানখেড়ে এক সভায় নিজ দেশ সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দারাবাদে গণধর্ষণের পর তরুণী হত্যায় অভিযুক্ত চার ব্যক্তিকে ক্রসফায়ারের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পরও থেমে নেই ভারতে নারী নিগ্রহের ঘটনা। যে কারণে নারীদের ওপর চলা নিপীড়নের প্রতিবাদে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
আর এরইমধ্যে দেশটির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও যেখানে দেখা গেছে উত্ত্যক্তকারীকে জুতো পেটা করছে এক নারী কনস্টেবল।
ভিডিওতে দেখা গেছে, কুয়াচ্ছন্ন শীতের ভোরে এক ব্যক্তিকে নিজের পা থেকে জুতো খুলে উপর্যপুরি পেটাচ্ছেন এক নারী কনস্টেবল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়, কানপুরে কলেজ ছাত্রীদের বেশ কয়েকদিন ধরে উত্ত্যক্ত করছিলেন ভিডিওতে মারধরের শিকার ওই ব্যক্তি। প্রতিবাদ করতেও কোনো ফল হয়নি। পরে থানায় অভিযোগ জানালে সরেজমিনে এসে চোখের সামনেই উত্ত্যক্তের ঘটনা দেখেন এক নারী কনস্টেবল। বিষয়টি সহ্য করতে পারেননি তিনি। জুতা খুলে উত্ত্যক্তকারীকে মারতে শুরু করেন।
এদিকে ঘটনাটিকে ইতিবাচক হিসেবেই নিয়েছেন দেশটির বেশিরভাগ নেটিজেনরা। উত্ত্যক্তকারীকে জুতোপেটা করার এমন দৃশ্য দেখে ওই নারী পুলিশ কনস্টেবলকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তারা।
অনেকেই বলছেন, প্রশাসনে এমন পুলিশ থাকলে ভারতের নারীদের ধর্ষণ তো দূরের কথা উত্ত্যক্ত করতেও ভয়ে কাঁপতো বখাটেরা।
এভাবে প্রকাশ্যে জুতোপেটার দৃশ্য অনেকে মেনে না নিলেও কেউ কেউ বলছেন, উচিত বিচার হয়েছে। উত্ত্যক্তকারীদের সাধারণভাবে নিতে নেই। এরাই একসময় ধর্ষক হয়ে ওঠে।
ভিডিওটি দেখুন –
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।