সৌরজগতের চতুর্থ গ্রহ মঙ্গল। রোমানদের যুদ্ধের দেবতা মার্সের নামে এর নামকরণ করা হয়েছে। ১৬১০ সালে গ্যালিলিও গ্যালিলি প্রথম টেলিস্কোপের সাহায্যে গ্রহটি পর্যবেক্ষণ করেন। ভবিষ্যতে মঙ্গলে যাওয়ার জন্য এখনই প্রস্তুতি নিচ্ছে পৃথিবীবাসী। হয়তো একদিন মানুষ লাল গ্রহটিতে বসবাস করবে। তাই এই গ্রহ নিয়ে আমাদের আগ্রহ বেশি। বিভিন্ন দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইতিমধ্যে গ্রহটিতে নানা অভিযান চালিয়েছে। পাঠিয়েছে ল্যান্ডার, রোভার, ড্রোন—এমনকি ছোট হেলিকপ্টার।
মঙ্গলের কেন্দ্রে রয়েছে লোহা ও নিকেল। মঙ্গলের কোরের ব্যাস প্রায় ২ হাজার ১২০ মাইল। এর বায়ুমণ্ডল অত্যন্ত পাতলা। ৯৬ শতাংশ কার্বন ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন ও আর্গন ১.৯ শতাংশ। বায়ুমণ্ডল পাতলা হওয়ায় উল্কা, গ্রহাণু ও ধূমকেতু অনবরত আঘাত করে এর পৃষ্ঠে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, কোটি কোটি বছর আগে গ্রহটিতে পানি ছিল। সে পানি প্রায় ৪০০ কোটি বছর আগে উধাও হয়ে যায়। হয়তো গ্রহটির পৃষ্ঠের নিচে এখনো বরফ আকারে রয়েছে পানি।
সূর্যের আলো মঙ্গলে পৌঁছাতে প্রায় ১৩ মিনিট সময় লাগে। এ গ্রহের দুটি উপগ্রহ রয়েছে। ফেবোস ও ডেমোস। ১৮৭৭ সালে মার্কিন জ্যোতির্বিদ আসাফ হল উপগ্রহ দুটি আবিষ্কার করেন। মঙ্গলের তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে মাইনাস ১৫৩ ডিগ্রি পর্যন্ত হতে পারে।
সৌরজগতের সবচেয়ে বেশি পর্বত আছে মঙ্গলে। সবচেয়ে গভীর ও দীর্ঘতম পর্বত অলিম্পাস মুন। এটি প্রায় ২৭ কিলোমিটার উঁচু, যা মাউন্ট এভারেস্টের চেয়ে প্রায় তিন গুণ। এটা সৌরজগতের বৃহত্তম আগ্নেয়গিরিগুলোর মধ্যে একটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।