উল্টো দিকেও ঘুরতে পারে পৃথিবীর কেন্দ্র, যা ঘটতে পারে!
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: ঘূর্ণায়মান পৃথিবীর কেন্দ্রস্থলও অনবরত ঘুরেই চলেছে; কিন্তু এই ঘূর্ণনের গতি সব সময় এক দিকেই হয় না, সমবিশেষে এর দিকও পরিবর্তন হয়। এমনকি মাঝে কিছু সময়ের জন্য তা থেমেও যায়।
বিজ্ঞানীরা বলেন, পৃথিবীর ‘ইনার কোর’, অর্থাৎ কেন্দ্রস্থল ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘুরতে শুরু করার পর একসময় তা আবার বিপরীত মুখে ঘুরতে থাকে। বিপরীতে মুখে ঘুরতে শুরু করার আগে কিছুক্ষণের জন্য তা থেমেও যায়। ২০০৯ সালে হঠাৎ থমকে গিয়েছিল। এরপর আবার বিপরীত দিকে ঘুরতে শুরু করে। চীনের পিকিং ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানিয়েছেন, মোটামুটি ৩৫ বছর অন্তর ঘূর্ণনের দিক পরিবর্তন হয়। একটি সম্পূর্ণ ঘূর্ণন শেষ করতে সময় লাগে প্রায় ৭০ বছর। বিজ্ঞানীরা ১৯৭০ সালের শুরুর দিকে প্রথমবারের মতো পৃথিবী গ্রহের কেন্দ্রস্থলের ঘূর্ণনের অস্তিত্ব টের পান। আবার ২০৪০ সালের মাঝামাঝি সময়ে কেন্দ্রস্থলের গতির দিক পরিবর্তন হবে বলে অনুমান তাঁদের।
ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট তরঙ্গের গতি-প্রকৃতি পরীক্ষা করতে গিয়ে ১৯৩৬ সালে বিষয়টির আভাস পান বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল ক্রাস্ট, ম্যান্টল ও কোর—এই তিন ভাগে বিভক্ত। ম্যান্টল ও ক্রাস্টের ঘূর্ণনের গতিবেগের চেয়ে কোর এলাকার ঘূর্ণন প্রতিবছর বেড়ে চলেছে বলে গবেষকদের একাংশ দাবি করেন।
পিকিং ইউনিভার্সিটির গবেষকরা ১৯৯৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত হওয়া সব ভূমিকম্পের গতি-প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করার পর জানিয়েছেন, ঘূর্ণনের এই পরিবর্তন সম্ভবত দিনের দৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত। পৃথিবী নিজের অক্ষে যেভাবে প্রতিনিয়ত ঘুরছে, তার ওপরেও সামান্য প্রভাব ফেলতে পারে কেন্দ্রস্থলের ঘূর্ণন। তবে এর ফলে কোনো বিপদের আশঙ্কা নেই। বিশ্ববাসী এই ঘূর্ণনের কিছুই টের পাবে না।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।