আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে গত ডিসেম্বরে উৎপত্তি হয় প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের। এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায়, উহানে জনশূন্য পথঘাটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের মরদেহ। আর সংক্রমণের ভয়ে সেগুলো ধরতে যাচ্ছে না কেউ। তবে এই ভিডিওটি ভুয়া বলে দাবি করেছেন সেখান থেকে সম্প্রতি ফেরা ভারতের মহারাষ্ট্রের শিক্ষার্থী আশিস কুর্মি।
উহানের পার্শ্ববর্তী এক বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিবিএস নিয়ে পড়ছেন আশিস কুর্মি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে তিনি জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের ৮ ডিসেম্বর চীনে প্রথম করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে। কিন্তু আশিস করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সম্পর্কে প্রথম জানতে পারেন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে শহরের পথেঘাটে চলাফেরায় কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। কিন্তু ধীরে ধীরে করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করতেই শুরু হয় নিষেধাজ্ঞা।
আশিস আরো বলেন, উহানের রাস্তায় মৃতদেহের সারির যে সব ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তা ভুয়া। আমি ভারতে ফেরার পর এই ভিডিওগুলি সম্পর্কে জানতে পারি। শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করার পদ্ধতি জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে চালু হয়। আমরা স্বাধীন ভাবে ঘুরে বেড়াতাম। কিন্তু সেটা ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। তারপর থেকে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে উহান শহর। এতে আমাদের চলাফেরাও বন্ধ হয়ে যায়।
উহানের স্মৃতিচারণ করে আশিস বলেন, আমাদের সকলকে বাড়ির মধ্যে বন্দি থাকতে হতো। এসময় শিক্ষকরা আমাদের খেয়াল রাখতেন। পরে পরিস্থিতি খারাপ হলে আশিস ভারতে ফিরে সিদ্ধান্ত নেন দেশে ফিরে আসার। কিন্তু তখনই তিনি জানতে পারেন উহান বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এরপর চীনের ভারতীয় দূতাবাসের সহায়তায় দিল্লি পৌঁছান আশিস। ভারতে পৌঁছনোর পরে ১৪ দিন তাঁদের সঙ্গরোধ করে রাখা হয়। তারপর ভারতের মহারাষ্ট্রের লাতুর জেলায় নিজের বাড়িতে ফেরার অনুমতি পান আশিস।
বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৯৫ হাজার ছাড়িয়েছে। এছাড়া পুরো বিশ্বে মৃতের সংখ্যা তিন হাজারেরও বেশি। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশির মত সমস্যা দেখা দেয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



